সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় বাধার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:০৯ অপরাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৩


সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় বাধার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
ছবি: জনবাণী

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় বাধা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। 


এসময় সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তবে, এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান ও পুলিশ।


সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে টাঙ্গাব ইউনিয়নের ডাকবাংলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় সুত্র জানায়, ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও উপজেলা ও পাগলা থানার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মোহাম্মদ আবুল হোসন দীপু। 


এই উপলক্ষে তার সমর্থকরা টাঙ্গাব ইউনিয়নের বারইহাটি বাজারে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার, লিফলেট বিতরন, মিছিল ও গনসংযোগ করছিল। প্রচারণায় স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন অংশগ্রহণ করেন। বারইহাটি বাজারে প্রচারণা শেষ করে ডাকবাংলা বাজারে আসতেই পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর ও তার লোকজন মিছিলে অতর্কিত হামলা করে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য নেতাকর্মীদের মারধর করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 


এসময় কয়েকজন ভিডিও করতে চাওয়ায় তিন কর্মীর মোবাইল ফোন হাত থেকে জোড় করে নিয়ে নেয়। এছাড়াও ১০/১২ অটোরিকশা ও ৪/৫ টা  মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। এসময় উন্নয়ন প্রচারণায় অংশ নেয়ার সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. শাহিন তালুকদার নামে একজনে তুলে নিয়ে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। তুলে নিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়।


সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. শাহিন তালুকদার বলেন, আমি ড. মোহাম্মদ আবুল হোসন দীপুকে সমর্থন করি। আজ মিছিলের সময় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে তুলে নিয়ে ঘন্টাখানেক নির্যাতন করেছে। এসময় আমার নাক, মুখে মেরে ফাঁটিয়ে দিয়েছে। পিটানোর পর আমাকে দিয়ে জোড় করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য মোবাইলে রেকর্ড করে নিয়ে গেছে।


এবিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. মোহাম্মদ আবুল হোসন দীপু বলেন, আমার নেতাকর্মীরা সরকারের উন্নয়ন প্রচারণা করছিল। এসময় পুলিশ ও চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ইতিমধ্যে বিষয়টি আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।


এবিষয়ে চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। যদি কেউ আমার বিষয়ে কিছু বলে থাকে, তাহলে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছেন।


পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, এই ধরণের কোন সংবাদ আমার কাছে আসেনি। কাউকে মারধর করার তো প্রশ্নই আসে না। যদি কেউ বলে তাহলে তা ভিত্তিহীন।


আরএক্স/