কাঁচা মরিচের পর জিরার দামে তেলেসমাতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৯ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৩


কাঁচা মরিচের পর জিরার দামে তেলেসমাতি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরেই অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হয়েছে কাঁচামরিচ। ভারত থেকে আমদানির খবরে কিছুটা কমলেও তা স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। এবার তেলেসমাতি দেখাচ্ছেন জিরা ব্যবসায়ীরা। 


সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে মাত্র দুদিনের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। দুদিন আগেও প্রতি কেজি জিরা ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 


সোমবার (১০ জুলাই) হিলির মসলার দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের প্রতিটি মসলার দোকানেই যথেষ্ট পরিমাণে জিরার উপস্থিতি দেখা গেছে। এরপরেও সরবরাহ কম বলে দাম বাড়তির কথা জানিয়েছেন বিক্রেতারা।


হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা রবিউল ইসলাম জানান, বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী; সংসার চালাতে খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে জিরার দাম বাড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে কাঁচামরিচ দাম বাড়তি, এখনো তো বাড়তির দিকে আছে।


আরও পড়ুন: আলুর কেজি ৫০ টাকা


হিলি বাজারের মসলা দোকানি ফখরুল হোসেন জানান, ঈদের আগে জিরার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়তে থাকে। জিরার দামটা স্থিতিশীল থাকছেই না কখনো কমছে তো আবার বাড়ছে। ঈদের সময় জিরাসহ অন্যান্য মসলার একটা বাড়তি চাহিদা থাকে। জিরার বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমদানিকারকরা মসলার আমদানি বাড়িয়ে দেন। 


হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ঈদের ছুটি শেষে গত ৩ জুলাই থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। 


জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম জানান, বাজারে অহেতুক যেন কোনো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না পায় সেটি রুখতে আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। এ সময় বিক্রেতাদের কেনাবেচার ম্যামো দেখে দামের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছি।


জেবি/ আরএইচ/