পিলখানার হত্যাকাণ্ড সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: ফখরুল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পিলখানার হত্যাকাণ্ড সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র: ফখরুল

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের ফল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এটা কোনো বিদ্রোহ নয়। এর মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এত বছর পরও প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটেছিল? এসময় এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে (২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) শহীদদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের জাতির যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। যে কথাটা সবসময় বলা হচ্ছে, এর পেছনে শুধু বিদ্রোহ ছিল না, একটা সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল। এর পেছনের মূল কারণ ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেওয়া। সেটাই সেদিনের উদ্দেশ্য ছিল।’

ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী এবং আনসার বাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নৃশংসতা ছিল সবচেয়ে বেশি। বিডিআর বিদ্রোহের পর সে বাহিনী পুনর্গঠনের সময় সেটির নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়। এ ছাড়া বাহিনীর ইউনিফর্মও পরিবর্তন করা হয়।’

১৩ বছরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্যতা উদঘাটন করা সম্ভব না হওয়ায় তা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এর পেছনে কারা ছিল, কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছিল? ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের এত কর্মকর্তা চলে যাননি। এখানে ৫৭ জন কর্মকর্তা চলে গেছেন, একজন সৈনিক চলে গেছেন।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের বিচার করা হয়েছে। এর পেছনের শক্তি কারা, সে সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এখনও আমরা পাইনি। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল, তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘জাতির সে গৌরব, যাঁরা জাতিকে-দেশকে রক্ষা করার জন্য শপথ নিয়েছিলেন, একটা মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁরা চলে গেছেন, তাঁদের জন্য আমরা শোক প্রকাশ করতে এসেছি, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে এসেছি, তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন তাঁদের বেহেশত নসিব করেন।’

এ ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ ইব্রাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওআ/