বাঁধ থেকে পানি ছাড়ছে ভুটান, বহু গ্রামে বন্যার আশঙ্কা আসামে
সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত)
প্রকাশ: ০৬:৪২ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৩
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম। ভারী বর্ষনের কারণে সে রাজ্যের অধিকাংশ নিচু এলাকা জলমগ্ন। তার মধ্যেই আবার নতুন করে আশঙ্কার কথা শোনাল আসাম সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ) রাত থেকেই কুরিচু জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধার থেকে টানা ৯ ঘন্টা জল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে ভুটান সরকার। যার ফলে বিপদের মুখে পড়তে পারে আসামের অনেকগুলি জেলা। ভেসে যেতে পারে গ্রামের পর গ্রাম।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা টুইটারে লেখেন, " ভুটান সরকার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ) রাতে কুরিচু বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়া হবে। আমরা জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সর্তক করেছি। বেকি ও মানস নদীতে জল বাড়তে শুরু করলেই সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
"ভুটান সরকারের তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুরিচু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা " ড্রুক গ্রিন পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড ( ডিজিপিসি) বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ) রাত থেকে জলাধারে জমে থাকা জল নিয়ন্ত্রিতভাবে ছেড়ে দেবে।
৯ ঘন্টা ধরে এই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া চলবে। এনিয়ে আসাম সরকারকে ও সর্তক করে ভুটান সরকার। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আসামে। অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে সে রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল বিশ্বনাথ, বঙ্গাইগাঁও, চিরাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, কোকরাঝাড়, মাজুলি, নলবাড়ি এবং তিনসুকিয়া। আসামের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই মোট ১৭৯ টি গ্রাম জলের নীচে ডুবে গিয়েছে। ২২১১•৯৯ হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২ টি জেলা হল ধেমাজি ও চিরাং। ধেমাজিতে ১৭,৬০৪ জন এবং চিরাংয়ে বন্যার কারণে ১৪,৩২৮ জন ক্ষতির মুখে পড়েছে। বেকি, দিসাং এবং ব্রক্ষপুত্রের জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরএক্স/