‌‘গ্রামকে শহর’ করতে একনেকের প্রকল্প পাস


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, ১৮ই জুলাই ২০২৩


‌‘গ্রামকে শহর’ করতে একনেকের প্রকল্প পাস
ছবি: পিআইডি

শহরে যেসব সুযোগ-সুবিধা আছে, সেসব সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’। ১৫টি পাইলট গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ ও সহজতর করার লক্ষ্যে একনেক সভায় ‘আমার গ্রাম-আমার শহর : পাইলট গ্রাম উন্নয়ন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮০০ কোটি কোটি টাকা। দেশের ১৫টি জেলার ১৫টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।


প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম-আমার শহর : প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত ১৫টি পাইলট গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ ও সহজতর করার লক্ষ্যে জনসম্পদ সৃজনে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট গ্রাম অন্তর্ভুক্ত ১০টি উপজেলার মহা-পরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রণয়ন/হালনাগাদের মাধ্যমে সারাদেশে সকল উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করা। ২০৪১ সালের মধ্যে পরিকল্পিত ও জলবায়ু সহিষ্ণু টেকসই-উন্নত দেশ বিনির্মাণে মাঠ পর্যায়ের মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন করার পাশাপাশি আমার গ্রাম-আমার শহর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের পাইলট গ্রাম অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব আহরণ, গ্রাম সহায়ক নীতি কাঠামো প্রয়োগ, স্বেচ্ছাসেবার অন্তর্ভুক্তি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নগর পরিষেবা প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সেবাসমূহ পাইলট গ্রামসমূহের সম্প্রসারণ বৃদ্ধি করা। 


আরও পড়ুন: একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন


এছাড়া পাইলট গ্রাম প্রকল্পের অধীনে সম্পাদিত কার্যাবলীর এবং আহরিত জ্ঞান সারাদেশে প্রয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং ডকুমেন্টেশন করা হবে।


প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রাম সড়ক উন্নয়ন (মাটির কাজ; ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেন নির্মাণ; প্রতিরক্ষা ইত্যাদি); গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ বাজার উন্নয়ন এবং কৃষিপণ্য কালেকশন সেন্টার নির্মাণ; পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ; উপজেলা বহুমুখী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ; বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উন্নয়ন; গ্রামীণ আবাসন উন্নয়ন; খাল ও পুকুর খনন; গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ উন্নয়ন, সড়ক বাতি স্থাপন, বন্ধু চুলা ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট সরবরাহ; সামাজিক বনায়ন এবং ভিলেজ ব্র্যান্ডি।


পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাইলটিং হিসেবে ১৫টি গ্রামে শহরের আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল গ্রামকে শহরের আধুনিক নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের ভিশন অনুযায়ী উন্নত, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।


জেবি/ আরএইচ/