বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০৬ অপরাহ্ন, ২০শে জুলাই ২০২৩


বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন
ছবি: জনবাণী

বাগেরহাটের পাঁচ উপজেলায় এবার শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। একইসঙ্গে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। এবার তারা শসা চাষ করে লাভের মুখ দেখেছে বলে জানান। 


এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলার সবজি খেত এবং মাছের খামারে প্রচুর পরিমাণে শসা চাষ হয়েছে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক শসা ও অন্যান্য সবজি বাগেরহাট থেকে দেশের অন্যান্য শহরে যাচ্ছে।


কৃষকরা জানান, গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে শসা গাছে শসা ধরে। এর পরে ভালো যত্ন এবং প্রয়োাজনীয় সারের ব্যবহার করে ৩০ থেকে ৪০ দিন শসার ভালো ফলন পাওয়া যায়। সপ্তাহে এক একর জমি থেকে প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ শসা বিক্রি করা সম্ভব।


বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার কচুয়া, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় কৃষকরা শসার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সর্বাধিক ফলন হয়েছে চিতলমারীতে। এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত ট্রাক শসা দেশের বড় বড় শহরে যাচ্ছে। 


বাগেরহাটের চিতলমারীর বড় পরিসরে শসা চাষি বিশ্বজিৎ জানান, তিনি চলতি মৌসুমে প্রায় ৯ একর জমিতে শসা চাষ করেছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে গড়ে ৯০-১০০ মণ শসা বিক্রি করতে পারছেন। সব খরচ মিটিয়ে এবার লাভ হিসাবে ৯-১০ লক্ষ টাকা উপার্জন হবে বলে মনে করেন তিনি। 


আরও পড়ুন: বেড়ায় তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা


কচুয়া উপজেলার শিশির দাস বলেন, ‘আমি ১ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছি। গত ১২ দিন ধরে শসা বিক্রি করছি। এবার ফলন বেশি হয়েছে। আর প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।


শসা চাষি শিশির দাস, রবিন সাধু এবং আরও কয়েকজন জানান, অনুকূল আবহাওয়াার কারণে এবার শসার ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগও আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমরা পাইকারদের কাছে প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা যদি এমন দাম পাই তবে এবার বেশ লাভ হবে।


বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বলেন, বাগেরহাট জেলায় সবজি চাষে অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময় মতো বীজ ও সার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, বিভিন্ন শাকসবজির পাশাপাশি শসারও বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগেরহাটের পাঁচ উপজেলায়া এবার প্রায় ৫০ হাজার টন শসা হবে। আমি কৃষকদের সব ধরণের কারিগরি এবং বিপণন সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কৃষকরা যাতে সুবিধা পেতে পারেন সেজন্য আমাদের সব রকমের চেষ্টা আছে।


জেবি/ আরএই্চ/