জাল সনদে চাকরিও খুইয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪:৩০ অপরাহ্ন, ২৪শে জুলাই ২০২৩

মিরপুরের ঘটনার পর রীতিমতো ভাইরাল ভারতীয় নারী দলের অধিনায় হারমানপ্রীত কৌর। স্ট্যাম্প ভাঙ্গা ও খেলা শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী দল ও আম্পায়ারদের সম্পর্কে বিতর্কিত আচরণে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ৫ বছর আগেও এক ঘটনায় আলোচনায় এসেছিলেন হারমানপ্রীত।
৫ বছর আগে ২০১৮ সালে পাঞ্জাব পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট (ডিএসপি) পদে চাকরি করতেন হারমানপ্রীত। জাল সনদের কারণে হঠাৎই তার চাকরি চলে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন!
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চাকরিতে কর্মরত সময়ে সার্টিফিকেটে হারমানপ্রীত দেখিয়েছিলেন যে তিনি উত্তর প্রদেশের মিরাটের চৌধুরী চরণ সিং ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাশ করেছেন। পরে ভেরিফিকেশনে জানা যায়, মিরাটের বিশ্ববিদ্যালয় তাকে (হারমানপ্রীত) তাদের ছাত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করে। এরপর পাঞ্জাব রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে এই কেস যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হারমানপ্রীতকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আবার বাংলাদেশে আসলে প্রস্তুত হয়ে আসব: হারমানপ্রীত
গেল শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুরে হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত নারী ক্রিকেটের তৃতীয় ওয়ানডে। ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ৩৪ তম ওভারের ঘটনা। ওভারের চতুর্থ বলে নাহিদা আক্তারকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন হারমানপ্রীত। ব্যাটের কানায় লেগে ফাহিমা খাতুনের ক্যাচ হন। ভারতীয় অধিনায়ক মাঠেই ক্ষোভে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন। মাঠ ছাড়ার সময় আম্পায়ারের ওপর রাগ ঝাড়েন, গ্যালারিতে দর্শকদের উদ্দেশ্যে থাম্বস আপ দেখিয়েছেন। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সরাসরি আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করেছেন। অক্রিকেটীয় আচরণের কারণে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানাও করা হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে।
জেবি/এসবি