বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না: কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশন চায় না, নির্বাচনও চায় না। তারা জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আগামী নির্বাচনে তাদের একদম ভরাডুবি হবে। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর জেলে থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারের বদান্যতায় ও উদারতায় জেলের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বিএনপির আরেক নেতা তারেক রহমান বিদেশে থেকে রিমোট কন্ট্রোলে দল পরিচালনা করে। সেও দুর্নীতিপরায়ণ, আইন অনুযায়ী তাঁরও নির্বাচনে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়। কাজেই, তারা কোনক্রমেই নির্বাচন চায় না। তারা চায় সরকারের পতন। কিন্তু এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত জনগণের রায় ব্যতীত এ সরকারের পতন হবে না।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ভাবমূর্তি খুবই উজ্জ্বল। অতীতে তাঁরা স্বস্ব পেশায় অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি যতদূর জানি, তাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এ কমিশন গঠনের পর থেকে সব মহলে বিতর্ক কমে গেছে, শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা সবার মাঝে তৈরি হয়েছে এবং সবাই মনে করছে এই নতুন কমিশনের মাধ্যমে একটা ভাল নির্বাচন হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য কোন আইন ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছেন। এ আইনানুযায়ী রাষ্ট্রপতি গতকাল নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। কাজেই, বিএনপি এ কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করুক বা না করুক- তাতে কিছু যায় আসে না। তারা যতোই আন্দোলনের হুমকি দিক, আগামী নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সকল আন্দোলন মোকাবেলায় প্রুস্তুত রয়েছে।
পরে কৃষিমন্ত্রী বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, দল আরও শক্তিশালী ও সুসংগঠিত হবে। এই নতুন নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনে অনেক ভাল ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলনে বাসাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামছুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা,
সংসদ সদস্য এড. জোয়াহেরুল ইসলাম, ছোট মনির এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসএ/