ফুলবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় খুন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১১ অপরাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৩


ফুলবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় খুন
সাঈদ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে রাস্তায় উত্যক্ত করার জেরে ছুরিকাঘাতে সাঈদ (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক স্কুল ছাত্র। এই ঘটনার পর মো. সুমন (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।


নিহত সাঈদ উপজেলার দেওখলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও আহত শ্রাবণ (১৭) একই এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে। আটক সুমন একই এলাকার বাসিন্দা। তারা তিনজনই এসএসসি পরীক্ষার্থী।


বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাঈদের মৃত্যু হয়। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা গ্রামে দু'জনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটনা ঘটে।


ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিহত সুমনের সহপাঠী বলেন, আমি সুমন ও শ্রাবণ হরে কৃঞ্চ উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ালেখা করি ও একই কোচিংয়ে প্রাইভেট পড়তাম। মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কাঠগোলা নামকস্থানে আমরা তিনজন বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। 


এসময় মন্ডলবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করা দুটি মেয়ে আমােেদ সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। শ্রাবণ মেয়েদের উদ্দেশ্য করে বলে 'আল্লাহ আমারে একটা দিলা না'। 


এমন কথা শুনে ওই মেয়েদের পিছনে হেঁটে আসা একই স্কুলের (মন্ডল বাড়ি উচ্চবিদ্যালয়) ছাত্র সুমন প্রতিবাদ করে। এনিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া হয়। পরে স্থানীয়রা দেখে মিমাংসা করে দিলে আমরা যার যার মত করে চলে যাই।


তিনি বলেন, এই ঘটনার জেরে পরদিন বুধবার ছুরি নিয়ে শ্রাবণ ও সাঈদকে খোঁজতে আসে সুমন। শ্রাবণ ও সাঈদকে খোঁজে পাওয়ার পর মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে সুমন শ্রাবণকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে শ্রাবণ দৌড়ে পালাতে চাইলে সুমন সাঈদকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। 


পরে স্থানীয়রা সাঈদ ও শ্রাবণকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সাঈদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সন্ধ্যার ৭ টার দিকে সাঈদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এদিকে, শ্রাবণের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই দিন সন্ধ্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক।


এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ডিবি পুলিশ। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে মুল আসামী সুমনকে শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।


আরএক্স/