জনগণের সেবার ক্ষেত্রে কঠোর হবো: জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:১৪ অপরাহ্ন, ৬ই আগস্ট ২০২৩
জনগণের সেবার ক্ষেত্রে কঠোর হবো। পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারীর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন আস্থার জায়গা তৈরি করতে চাই বলেছেন নবাগত ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।
রবিবার(৬ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজুর রহমান, ঢাকা কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) সভাপতি হাসিব বিন শহিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে নবাগত জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধারে যে ধারা রয়েছে সেটি অব্যাহত থাকবে জানিয়ে নবাগত এ জেলা প্রশাসক বলেন, বেদখল ভূমি উদ্ধার প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে। সরকারি স্বার্থের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। এতে শ্লথ বা বিলম্বিত হওয়ার সুযোগ নেই। টাইমলি ফাইল নিষ্পত্তি না করলে সেবা প্রার্থীর যে ক্ষতি হবে সেই টাকাটা তার পকেট থেকেই দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই আইন করে দিয়েছেন। শুধু বিধিমালা বাকী আছে। ইনশাআল্লাহ এটাও হয়ে যাবে। আমরা সেবাকে সেই জায়গা থেকে দেখতে চাই। আমরা বলি না, আমরা শুদ্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু শুদ্ধ হওয়ার নিরন্তর চেষ্টা ও আন্তরিকতা আছে। আমাদের ইতিবাচক একটা কর্মকান্ড মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে। নেতিবাচক প্রকাশ অনেকের জন্য আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। আমি সত্যকে খুব পছন্দ করি। সত্য কথা শুনতে চাই। সত্যিই খারাপ করি, সত্য কথাটা বলবেন। ভালো করলে সেটাও বলবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা প্রশাসন উদ্যোগে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান আরও বলেন, বহু জায়গায় প্রান্তিক পর্যায়ের একটা ছোট অন্যায়ও মিডিয়ার কল্যাণে জাতীয় দৃষ্টি আকর্ষণে চলে আসতেছে। আপনারা জানেন, মাঠ পর্যায়ের সকল দপ্তরের সমন্বয়কারী জেলা প্রশাসন সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করে থাকে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগও শোনা যায়, সব সময় শুধু নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে। অবশ্য এটার একটা কারণও আছে। নেতিবাচকের দিকে শ্রোতা-দর্শকদের আকর্ষণটা বেশি। আমরা বলবো, সরকারের ইতিবাচক অনেক কাজ রয়েছে। সেই কাজগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৮ তলা ভবনের অনুমোদন বাতিল
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ধাপ ২০৪১ সালের মধ্যে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এখানে যাওয়ার জন্য মিডিয়ার বড় দায়িত্বশীল রোল থাকতে হবে। আমলা-সাংবাদিকরা মিলে কাজ করলে এটা অনেক সহজ হবে।
জেবি/এসবি