ই-হেলথ সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে: খাদ্যসচিব


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১২ অপরাহ্ন, ৬ই আগস্ট ২০২৩


ই-হেলথ সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে: খাদ্যসচিব
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রফতানিযোগ্য খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে ই-হেলথ সার্টিফিকেট ও অনলাইন ল্যাবরেটরি রেপোজিটরি শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যসচিব এ কথা বলেন।


রবিবার (৬ আগস্ট)  রাজধানীর গুলশানস্থ হোটেল রেনেসন্সে এ সকাল এগারটায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যসচিব জনাব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিটিএফ প্রজেক্টের আয়োজনে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরো জাতি উপকৃত হবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য পাবে।”


অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে তিনি স্বাস্থ্য সনদের গুণগতমান নিয়ে কোন আপোষ করা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন,“এর মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ, আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মানের সাথে সমন্বয় করে পণ্য উৎপাদন সহজ হবে।”


এদিন সকাল এগারটায় শুরু হওয়া এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এতোদিন ধরে চলতে থাকা ম্যানুয়াল পদ্ধিতে প্রদানকৃত রফতানিকৃত খাদ্যপণ্যের সনদ ব্যবস্থাকে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করা হয় এবং বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করা ৪৪টি ল্যাবের তথ্য অনলাইনে বিন্যস্ত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বিটিএফ প্রকল্প ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রপ্তানি ও পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি এবং অল্প সময়ে পণ্য রপ্তানির সনদপত্র প্রদান করতে পারবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। রপ্তানিকারক যে কোন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে সহজেই এ সনদ পাবে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে সরবরাহকৃত লিংকের মাধ্যমে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদের জন্য আবেদন করা যাবে।


আরও পড়ুন: আগস্ট শেষে ডেঙ্গু কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদফতরের


উপস্থিত সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মার্কিন কৃষি বিষয়ক অ্যাটাচি সারা গিলস্কি বলেন, “আর্ন্তজার্তিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদ আমদানি-রপ্তানি বাড়ানো, গুণগতমান বৃদ্ধি, পরীক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”


সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর কাইউম সরকার বলেন, “ই-হেলথ সার্টিফিকেশন ও ল্যাব অটোমেশনের সম্মিলনে খাদ্যের গুণগতমান ও রপ্তানি বাড়বে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যের নিরাপদতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”


তিনি আরো যোগ করেন, “ল্যাব অটোমেশনের মাধ্যমে ৪৪টি ল্যাবের ১৩৩ টি খাদ্যপণ্যের ৬৬৩টি প্যারামিটার সম্পর্কে জানা যাবে যা সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি সুন্দরতম পদক্ষেপ।”


আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা


বিটিএফ'র প্রকল্প পরিচালক জনাব মাইকেল জে. পার খাদ্যপণ্যের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসনদকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।”


অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ল্যাবরেটরি প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ত দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জেবি/এসবি