শরণখোলায় মা ও মেয়ে হত্যা মামলায় আপন তিন ভাই গ্রেফতার


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৩ই আগস্ট ২০২৩


শরণখোলায় মা ও মেয়ে হত্যা মামলায় আপন তিন ভাই গ্রেফতার
শরণখোলা থানা

বাগেরহাটের শরণখোলায় পাপিয়া আক্তার ও তার পাঁচ বছরের মেয়ে সাওদা জেনির হত্যা ঘটনার মামলা হয়েছে শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে মামলার প্রধান আসামীসহ আপন তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


দুপুরে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আ. সামাদ হাওলাদারের তিন ছেলে মনির হাওলাদার, নেহারুল হাওলাদার ও মিলন হাওলাদার। 


শনিবার সকালে শরণখোলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকারীরা ঐদিন রাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়ে সাওদা জেনি। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান মা পাপিয়া আক্তার। 


পাপিয়া আক্তার স্বামী আবু জাফর হাওলাদার কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। জিহাদ(১৫) নামে তাদের একটি ছেলে আছে। সে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াতে একটি দোকানে কাজ করে। পাপিয়ার ভাসুর আবু তালেব টুকু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভাই কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন। তার ছেলেটি থাকে মঠবাড়িয়াতে। 


বাড়িতে শুধু ভাইয়ের স্ত্রী ও মেয়েটি থাকতো। একা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মনির হাওলাদার আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে (পাপিয়াকে) নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতেন। মনিরের ভয়ে মেয়েকে নিয়ে রাতে অন্য বাড়িতে থাকতেন পাপিয়া। মনিরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তারা। 


আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই’। শরণখোলা থানার ওসি ইকরাম হোসেন জানান, নিহত পাপিয়া আক্তার ভাই আল-আমীন বাদী হয়ে মনির হাওলাদারকে প্রধান আসামি করে তার অন্য দুই ভাইসহ সাতজনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। 


ময়নাতদন্তের জন্য মা-মেয়ের মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়ক বাবুল আক্তার জানান, মামলা করার পরে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরএক্স/