পুষ্টিহীনতা নিরসনে ভূমিকা রাখছে এলডিডিপি’র স্কুল মিল্ক প্রোগ্রাম


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৩


পুষ্টিহীনতা নিরসনে ভূমিকা রাখছে এলডিডিপি’র স্কুল মিল্ক প্রোগ্রাম
ফাইল ছবি

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধ একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। নিয়মিত দুধ পান করলে দেহের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু সামর্থ্যের বিবেচনায় আমাদের দেশে উন্নত দেশ গুলোর তুলনায় নিয়মিত এই দুধ পান করার হার অনেক কম।


এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ৩০০টি নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তরল দুধ পান করানো হচ্ছে জানা গেছে।


এই স্কুল মিল্ক ফিডিং প্রোগ্রামে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে নির্ধারিত সময়ে প্যাকেটের সম্পূর্ণ দুধ পানে উৎসাহিত করতে হবে। দুধ পান সম্পন্ন হলে খালি প্যাকেট সংগ্রহ করে দুধ সরবরাহকারী ভ্যানচালকের কাছে ফেরত দিতে হবে।


এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আইডি কার্ড থাকবে। আইডি কার্ড প্রস্তুতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। প্রতিটি ক্লাসের জন্য একটি স্কুল মিল্ক বিতরণ রেজিস্টার বই সংরক্ষণ করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীদের নাম, পিতা-মাতার নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর লেখা থাকবে।


আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে ডিম আমদানির অনুমতি: বাণিজ্যমন্ত্রী


কেন্দ্রীয় স্কুল মিল্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি কর্তৃক দেশের দারিদ্র্য হার অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৫০টি ও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ২৫০টি স্কুলসহ মোট ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানোর এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের দরিদ্র এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা ভোগ করবে। যেসব এলাকার শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এবং খর্বকায় ও ক্ষীণ বৃদ্ধিসম্পন্ন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সুবিধাভোগী হবে।


আরও পড়ুন: কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভালো খাবারের বিকল্প নেই। আর নিয়মিত দুধ খেলে দেহের পুষ্টি চাহিদার অনেকাংশই পূরণ হয়ে যায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হয়, যা একটি শিশুর মেধা বিকাশে যথেষ্ট সহায়ক। 


তিনি আরও বলেন, একটি মেধাবী জাতির প্রয়োজনীয়তা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভালোভাবেই অনুধাবন করেন। তাই, তার নির্দেশে নেয়া এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সকলেরই সঠিকরূপে দায়িত্ব পালন করা জরুরি।


জেবি/এসবি