ন্যায়বিচার পাইনি, আপিলে যাবো: নিপুণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল করার কথা জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ
আক্তার।
বুধবার (২ মার্চ) হাইকোর্ট
শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এতে শিল্পী সমিতির সাধারণ
সম্পাদক পদ ফিরে পান জায়েদ খান।
এরপরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়
নিপুণ হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানান।
নিপুণ বলেন, হাইকোর্টে আমি
ন্যায়বিচার পাইনি। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে
সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ
ঘোষণা করে এদিন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট
বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী
সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা
করা হয় জায়েদ খানকে। পরে জায়েদের বিরুদ্ধে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’সহ
নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ। এমনকি এ পদে
পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন।
নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে
বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে
সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এদিকে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে
দাবি করেন জায়েদ খান।
ফলে ৭ ফেব্রুয়ারি বোর্ডে তার
প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ। রিটের শুনানি
নিয়ে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত ওইদিনই স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এরপর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ
স্থগিত চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নিপুণের আইনজীবী।
৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি
নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের
দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করা
হয়।
এসময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ
সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানানো হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের ওপর
চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আর হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য বলেন।
ওআ/