ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৪ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৫

লালনসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (বুধবার) তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
বুধবার (০৯ জুলাই) দুপুরে তিনি ‘লালন সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত এই কণ্ঠশিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফরিদা পারভীনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী ঈদুল ফিতরে পেক্ষাগৃহে ‘দম’ নিয়ে আসছেন আফরান নিশো
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক অমূল্য রত্ন। লালনসংগীতে তিনি অদ্বিতীয়া, দেশের মানুষের ভালোবাসায় আবদ্ধ এক মহান শিল্পী।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে তিনি (ফরিদা পারভীন) কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন এবং অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তাকে সুস্থ করে তোলার।
তিনি আরও বলেন, আমার আহ্বান সরকারের কাছে, এ রকম একজন গুণী শিল্পী, যিনি বিশ্বে সমাদৃত, তার চিকিৎসার জন্য স্পেশাল বোর্ড তৈরি করা উচিত। বোর্ড করে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে দরকার হলে বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে— এটা জাতি চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অনুরোধ করব, আহ্বান জানাব প্রধান উপদেষ্টাকে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন তার (ফরিদা পারভীন) সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
আরও পড়ুন: টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ফরিদা পারভীনের, যা বললেন ছেলে
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাসের সভাপতি হেলাল খান, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রুকন এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারে নজরুল সংগীতের মাধ্যমে সংগীতজীবনের পথচলা শুরু করেন। এরপর ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে তিনি সবার মন জয় করেন। লালনসংগীতে তার সরাসরি তালিম সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছ থেকে নেওয়া। পরবর্তীতে এই ধারার এক অনন্য কণ্ঠ হয়ে ওঠেন কিংবদন্তী এই শিল্পী।
১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য ফরিদা পারভীনকে একুশে পদক প্রদান করা হয়। পরে ১৯৯৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে সম্মাননা পান। এরপর ২০০৮ সালে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার পুরস্কার পান তিনি।
এমএল/