ঘোড়াঘাটে কৃষি জমিতে বাড়ছে কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, ৩১শে আগস্ট ২০২৩
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষি জমিতে দিন দিন বাড়ছে জৈব বা কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার। তবে সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্যের। সেই দিক থেকে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে জৈব সারের বিকল্প নেই। বর্তমানে কৃষকরা অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠেছে।
এর আগে স্থানীয় কৃষি বিভাগ রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। সেই লক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট ফেজ-টু এর আওতায় মহিলা কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ-সিআইজি দলের ৩০ চাষিকে কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নারী-পুরুষদের নিয়ে ৪০টি কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ-সিআইজি দল গঠন করা হয়েছে। এদের জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। জমিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে তারা সাফল্য পেয়েছেন। এতে ফসলের উৎপাদন তুলনামুলক বেশি হচ্ছে।
ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের ঘুঘুরা গ্রামের সিআইজি কৃষকদলের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমি কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে ফসলের জমিতে ব্যবহার করছি ও বাড়তি সার ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
এ বিষয়ে একই গ্রামের আদর্শ কৃষাণী মোছা. জমিলা বেগম বলেন, এ সার তিনি সবজি খেতে ব্যবহার করেন। এতে তার জমিতে ফলন ভালো হয়। বর্তমানে সবজি চাষের পাশাপাশি আমন খেতে এই সার ব্যবহার করছেন। এ সার উৎপাদনে তুলনামূলক ভাবে খরচ কম।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান জানান, রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদিন ফসল ও খাবার খেয়ে মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। সে লক্ষে আমরা ফসলের জমিতে কৃষকদের কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।
আরএক্স/