তাহসান-মিথিলা-শবনম ফারিয়ারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পায়নি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির
বিরুদ্ধে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম
ফারিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পায়নি পুলিশ। এ কারণে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির
সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান
থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজিব হাসান চার জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৫ জনকে অব্যাহতির আবেদন
করে ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়াও ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, তার
স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাছরিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত
হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) ধানমন্ডি
থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর ইশারত আলী এতথ্য জানান।
চার্জশিটভূক্ত অপর দুই আসামি
হলেন-প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আকাশ ও ক্যাটাগরী হেড
মোহাম্মদ আবু তাহের ওরফে সাদ্দাম। এরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অব্যাহতির সুপারিশ করা অপর
দুই আসামি হলেন-প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপনন কর্মকর্তা এস এম আরিফ রেজা হোসাইন ও এক্সিকিউটিভ
অপারেশন আবু কায়েস। আবু কায়েসের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেও পূর্ণাঙ্গ
নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। নাম-ঠিকানা পেলে পরবর্তীতে তার
বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত বছর ৪ ডিসেম্বর ই-কমার্স
প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাহসান খান, রাফিয়াত
রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। সাদ স্যাম রহমান
নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ
রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ
নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওআ/