কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৩


কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
গাজী মাজহারুল আনোয়ার

অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের কিংবদন্তী গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীসোমবার। গতবছরের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।


গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার  ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট এর দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গন হারিয়েছে সঙ্গীতের কিংবদন্তী ও অগণিত কালজয়ী গানের গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে। হঠাৎ করে যেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছিলো শোকের কালো ছায়া। এই অঙ্গনে রয়েছে তাকে নিয়ে হাজারো স্মৃতি।


অগনিত গানের কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। যার অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় এবং বাংলর সব শ্রেণীর মানুষের মুখেমুখে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে- জয় বাংলা বাংলার জয়, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হলো, গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম -এর মতো কালজযী সব গান।


বিবিসি বাংলা তৈরিকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশটি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে এই কিংবদন্তী গীতিকবির লেখা-ই তিনটি গান।


তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। তিনি প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন ১৯৬৭ সালে আয়না ও অবশিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা নজির দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১ টি।


১৯৪৩ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে তার পেশাদার গীতিকার জীবন শুরু। তিনি কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ৫(পাঁচ) বার গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ২০০২ সালে একুশে পদক, ২০২১ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদক সহ প্রায় ১১০ টি পুরস্কার।


জেবি/এসবি