যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, মুক্তাগাছায় ১৪৪ ধারা জারি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:২০ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৩


যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, মুক্তাগাছায় ১৪৪ ধারা জারি
ছবি: জনবাণী

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।


সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।


মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


তিনি বলেন, যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসুচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসুচি থেকে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।


এবিষয়ে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ১৪৪ ধারা জারির পর পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়। তবে, যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় তিনজন আটক করা হয়েছিল। এরপর আর কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৯ টায় শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদুজ্জামান আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে চা পান করছিলেন। এসময় ৩০ থেকে ৩২ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। আসাদকে তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।


পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।


এই ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকালে হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের মরদেহ মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।


পরে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যায় অংশগ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।


পরে ওই দিন রাতে নিহত আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ বাদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল হাসান মনিসহ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।


আরএক্স/