৩ মার্চ, ১৯৭১: ঘোষিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশের
ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই দিনে ঘোষিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ
রূপরেখা। পাঠ করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার।
ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম
বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা
করা হয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে
নির্বাচিত করা হয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া
খান ঢাকায় পার্লামেন্টরি পার্টিগুলোর নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করলে, বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন।
বিকেলে পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ
ও শ্রমিক লীগ আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ।
ইশতেহারে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের
সাত কোটি মানুষের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম বলা হয়, বাংলাদেশ।
ইশতেহারটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে
প্রচণ্ড করতালির মাধ্যমে প্রস্তাব গৃহীত হলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে
মুখরিত হয়ে ওঠে পল্টন ময়দান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা।
৩ মার্চের ওই জনসভাতেই ঘোষণা
আসে ৭ মার্চের রেসকোর্সের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সেই ঐতিহাসিক জনসভার। যেখান
থেকে বাঙালি জাতির মহান পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তবে অবস্থা আয়ত্বে আনার জন্য
ওইদিনই পাকিস্তান সরকার জারি করে সান্ধ্য আইন। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই অব্যাহত থাকে
জনতার বিক্ষোভ ও মিছিল।
ওআ/