পরকিয়া প্রেমিককে হত্যা করে বিলে পুতে রাখে স্বামী-স্ত্রী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:১৪ অপরাহ্ন, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩


পরকিয়া প্রেমিককে হত্যা করে বিলে পুতে রাখে স্বামী-স্ত্রী
ছবি: জনবাণী

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় নিখোঁজের ১৩ দিন পর বাবুল মিয়া (৪৫) নামে এক জনের পাটের বস্তাবন্দি মরদেহ বিল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী'কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার মহিষবেড় এলাকার সিধলং বিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


নিহত বাবুল মিয়া জেলার তারাকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে। 


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার মহিষবেড় গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) এবং তার স্ত্রী সখিনা বেগম (৪০)।


তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আবুল খায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, ভিক্টিম বাবুল মিয়া গত ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল। নিখোঁজের পর আশপাশের অনেক এলাকা ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেশ কয়েকদিন খোঁজাখোঁজি করে। তবে, বাবুল মিয়ার কোন সন্ধ্যান মিলেনি। কোথাও খোঁজে না পেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর বাবুল মিয়ার ছেলে সোহেল বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন।


পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (৬ আগস্ট) গাজীপুরের তুরাগ এলাকা থেকে শাহজাহান মিয়া এবং তার স্ত্রী সখিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে তারাকান্দা থানায় এনে শাহজাহান ও সখিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবুল মিয়াকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সিধলং বিল থেকে বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।


গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ওসি আবুল খায়ের বলেন, ভিক্টিম বাবুল মিয়া গ্রেফতারকৃত সখিনার ফুফাত ভাই। সখিনা স্বামী সংসার থাকার পরেও সে বাবুল মিয়ার সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে, সর্ম্পকের বিষয়টি সখিনার স্বামী শাহজাহান টের পেয়ে বাবুল ও সখিনাকে সতর্ক করে দেন। কিন্তু বাবুল মিয়া কোন মতেই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারপরেও সখিনাকে বিরক্ত করত বাবুল মিয়া। এমতাবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে বাবুল মিয়ার হত্যার পরিকল্পনা করে সখিনা ও তার স্বামী শাহজাহান। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪ আগস্ট মোবাইলে বাবুল মিয়াকে ডেকে সিধলং বিলের কাছে ডেকে নিয়ে যায় সখিনা। বাবুল মিয়া সেখানে যেতেই স্বামী স্ত্রী মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ গুম করার জন্য পাটের বস্তায় ভরে বিলের মাঝখানে পুতে রাখে ও বস্তা যেন ভেসে না উঠে সে জন্য খুটির সাথে বেধে রাখে।


এই ঘটনার পর ভিক্টিম বাবুল মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 


আরএক্স/