১১ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা দিবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


১১ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা দিবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়

পাট খাতে অবদানের জন্য এ বছর পাট দিবসে ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। মূলত, পাটখাত উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম, পাটবীজ আমদানিতে নির্ভরশীলতা হ্রাস, পাটবীজ উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন, প্রচলিত ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও পাট সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ৭টি শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।

পাটমন্ত্রী বলেন, সোনালি আঁশ পাটের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। পরিবেশবান্ধব তন্তু হিসেবে পাটের গুরুত্ব বিবেচনায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি, দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২ উদযাপন করতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু (পলিথিন)-এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পাট পণ্যের প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারীগণ সকলকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আগামী ৬ মার্চ ‘জাতীয় পাট দিবস দেশব্যাপী উদযাপিত হবে। এবারের জাতীয় পাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সোনালি আশেঁর সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলন জাননো হয়, আগামী ৬ মার্চের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকায় পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং জেডিপিসি চত্ত্বরে ৬-৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শণী ও মেলা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পাটপণ্যের অভ্যন্তদরীণ ব্যবহার এর লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই আইনের আওতায় ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, পাট মৌসুমে হাট-বাজারে নজরদারি জোরদার করা, নিয়মবর্হিভূত মজুদ ও বিদেশে কাঁচা পাট পাচাররোধে নিয়োমিত তদারকি করা হচ্ছে। বিজেএমসির সাময়িক বন্ধকৃত মিলসমূহ অবসায়নের পর সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় লীজ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে ২টি জুটমিলের (বাংলাদেশ জুটমিল,নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস্, চট্রগাম) ভাড়া ভিত্তিক ইজারা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

গোলাম দস্তগীর বলেন, এছাড়াও আরও দুটি জুট মিল –এর লীজ প্রদান প্রকৃত চলমান রয়েছে। অবশিষ্ট ১৩টি মিল লীজ প্রদানের জন্য ২য় বারের মত আহবান করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও কিছু মিল চালু করা সম্ভব হবে। পুনরায় চালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবে। একই সাথে এসব মিলে নুতন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মো: মুহিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এস.এম.সেলিম রেজা, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমানসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ওআ/