মুক্তারপুর নৌপুলিশ স্টেশনের ওসির তাক লাগানো উন্নয়ন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১২ অপরাহ্ন, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৩


মুক্তারপুর নৌপুলিশ স্টেশনের ওসির তাক লাগানো উন্নয়ন
ওসি মো: আব্দুস সোবহান। ফাইল ছবি

মুন্সীগঞ্জের মুক্তাপুর নৌ পুলিশের ওসির মো: আব্দুস সোবহানরে  একান্ত প্রচস্টোয় বদলে গেছে পুর্বের নকশা। ছোাঁয়া লেগেছে উন্নয়নের, গড়ে ওঠেছে সৌন্দর্য্য বর্ধন পরিবেশ, আইনশৃংখলা রক্ষার্থে রয়েছে অভিনব কৌশলে অপরাধ দমন। প্রতিদিন রয়েছে অবৈধভাবে গড়ে কারেন্ট জালের ফ্যক্টরীতে অভিযান, উদ্বারসহ রয়েছে নিয়মিত মামলা, অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীর মালিক ও অপরাধীদের কাছে আতংকের আরেক নাম ওসি আব্দুস সোবহান।


সরজমিনে গিয়ে দখো যায়, এক সময় এই নৌ পুলিশ স্টেশনটি ধলেশ্বরী নদীর একেবারে তীর ঘেঁষা ছোট্ট একটি কিনারে অবস্থিত। জায়গা স্বপ্ল হলেও সৌন্দর্য্য বর্ধন চোখে পড়ার মতো। নদীর পাড় দিয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়ে তৈরী সীমানা প্রাচীর। নদীর গর্ভে ভেঙ্গে পড়া অংশটুকু মাঠি ভরাট করে সীমানা প্রাচীর মজবুতভাবে করা হয়েছে । 


গড়ে ওঠেছে একটি ছোট্ট গার্ডেন যা এখন দৃশ্যপট। পাশে জনসাধারন বসার জন্য ছোট ছোট পাকা করন বেঞ্চ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ধরে রাখার জন্য প্রতিটি গাছের গোড়া রাউন্ড করে পাকা করন টাইলস। পাশে ছোট্র ফলজ গাছপালার বাগান, সেখানে রযেছে পেঁপে,বেগুন,সাকসব্জীর বাগান,পাশে মুসল্লীদের জন্য একটি দোতলা মসজিদ। 


পূর্বে এই পুলিশ স্টেশনটি ছিলো টিনসীট বিল্ডিং, মসজিদটি ছিলো একতলা বিল্ডিং,এ স্টেশনটির অনেকাংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো,এক তৃতীয়াংশ জায়গায় ময়লা স্তুব ছিলো,ছিলোনা জনসাধারনের বসার কোন জায়গা,ছিলোনা কোন সৌন্দয্য বর্ধন। এই পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ হিসেব ঢাকার কেরানীগঞ্জ নেীপুলিশর ওসি মো: আব্দুস সোবহান যখন বদলী হয়ে এই নৌ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জের দ্বায়িত্ব নেন। তখন থেকেই তিনি নৌ পুলিশের পুলিশ সুপারের সাথে পরামর্শক্রমে তাহার সার্বিক সহযোগিতায় এই স্টেশনের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেয় ওসি আব্দুস সোবহান । 


তিনি একতলা মসজিদটি এখন দোতায় রুপান্তরিত করেন। নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া অংশটুকু তিনি নিজস্ব অর্থায়নে আর সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীর তৈরী কওে সেখানে মাটি ভরাট করেন,যাহা এখন দৃশপট।


তিনি এই নৌ পুলিশ স্টেশনের যোগদানের পর অবৈধ কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অপরাধের এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাদিক মামলা করেছেন। 


পরিবেশ রক্ষার্থে তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ স্টেশনের খুব নিকটে বেশ কয়েকটি সিমেন্ট ফ্যক্টরী ও রংয়ের ড্রাইয়িং ফ্যক্টরী রয়েছে যা প্রতিদিন পরিবেশ,মানুষের স্বাস্থ্যসহ নদীর পানি দূষিত করছে।


এবিষয়ে আমি ফ্যক্টরীর মালিক পক্ষের সাথে একাধিক মিটিং করেছি। তারা যেন তাদের ময়লাগুলো ,ড্রেইনের মাধ্যমে সার্ভিস দেন। কিন্তু তারা এবিষয়ে সচেতন না থাকায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উদ্দর্তন সচেতন মহলের প্রতি আহব্বান জানাই তারা যেন নদী ও পরিবেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।


আরএক্স/