রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নির্ণয়ে গবেষণার বিকল্প নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৯ অপরাহ্ন, ৩রা অক্টোবর ২০২৩


রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নির্ণয়ে গবেষণার বিকল্প নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
বিএসএমএমইউ উপাচার্য

একসঙ্গে ৩০ জন চিকিৎসক গবেষককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে পিএইচডি প্রোগ্রামে অন্তর্ভূক্তির নিবন্ধন পত্র প্রদান করা হয়েছে।


মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ পিএইচডি এনরোলমেন্টদের হাতে এ নিবন্ধন পত্র তুলে দেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্লিনিক্যাল পেশার মানুষ সাধারণত এই পিএইচডি গবেষণায় আসতে চায় না। রোগ নির্ণয় ও রোগ প্রতিরোধে গবেষণার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসন গবেষণা বান্ধব। গবেষণার পরিবেশ তৈরি করার জন্য নিরলস আমরা কাজ করছি। ক্লিনিক্যাল গবেষণায় চিকিৎসকদের উৎসাহ প্রদানের জন্য আমরা নানান উদ্যোগ নিয়েছি। যেসকল শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকবে তাদের অনন্ত বছরে একটি বেশী ইনসেনটিভ দেয়া যায় কিনা সেজন্য আমরা আলাপ আলোচনা করছি। গবেষণায় উৎসাহী করতে সবার সহযোগীতা কামনা করছি।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, বেসিক সাইন্স এন্ড প্যারাক্লিনিক অনুষেদর  ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরপদার, প্রিভেন্টিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আতিকুল হক প্রমুখসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।


প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০২২ সাল পর্যন্ত মাত্র ২ জন চিকিৎসকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসকদের গবেষণায় আগ্রহী করার উদ্যোগের ফলে প্রথম ধাপে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২৪ জন চিকিৎসককে পিএইচডি প্রোগ্রামে ইনরোলমেন্ট করা হয়। ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩০ জন চিকিৎসক গবেষককে পিইএচডি প্রোগ্রামে এনরোলমেন্ট দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য সম্পৃক্ত গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।


আরএক্স/