দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যা বললেন ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:২৮ অপরাহ্ন, ৫ই অক্টোবর ২০২৩
নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে আসার ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাই শঙ্কিত নই।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়েছিল, তাই এসেছিলাম। যেহেতু এটা আইনগত বিষয়, তাই বিস্তারিত আমার আইনজীবী বলবেন’।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা।
ইউনূসের আইনজীবী ও দুদক সূত্র জানায়, সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান দুদক কার্যালয়ে আসেন। সকাল ১০ টা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ১১ টার দিকে দুদক কার্যালয়ে থেকে বের হন ড. ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা।
পরে ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
তিনি আরও বলেন, “আমি ড. ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে (দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওখানে দিয়েছি। উনারা (দুদক) বলেছেন, ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি, আপনারা জাল বলতে পারেন না। কারণ, দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয় তখন আর সেটা জাল থাকে না এবং এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া, সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা অ্যাকাউন্ট করেছি। হ্যা আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি। কারণ, সবাই এক সঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে, আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি, দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”
জেবি/এসবি