শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৩২ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৩
'মানসিক স্বাস্থ্য সর্বজনীন মানবাধিকার ' প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রা বের করে মনোরোগবিদ্যা বিভাগ।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে এ ব্লক, টিএসসি, বেসিক ভবন প্রদক্ষিণ করে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রা পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। মনে রাখতে হবে, নো হেলথ ইউথ আউট মেন্টাল হেলথ। আমাদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও অন্যতম। মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মানেই পাগল নয়।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষের শরীরের যেমন রেস্ট দরকার আছে, তেমন মানুষের হৃদয়, মনেরও রেস্ট দরকার আছে। হৃদয়ে সুখ না থাকলে ও মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ থাকে। শরীর খারাপ থাকলে মানুষ কাজ করতে পারবে না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহাজাবিন মোরশেদ, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ্, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফারুক হোসেন, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখসহ মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্সরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যাকে ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ নয়, বরং মৌলিক মানবাধিকার। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, সবারই এই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এ দিনটি পালন করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছরই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুরুতে দিবসটির কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ছিল না। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলা এবং জনসাধারণকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষিত করা।