ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২০ অপরাহ্ন, ২৪শে অক্টোবর ২০২৩


ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’:  সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। এজন্য সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


এদিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ এ তথ্য জানান।


তিনি জানান, “সকালে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে সকালেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। কিন্তু সদরঘাট থেকে চাঁদপুরে লঞ্চ চলছিল। বিকেল ৩টা থেকে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।”


এদিকে, প্রেস কনফারেন্সে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, “ঘূর্ণিঝড় হামুনের গতিপথ, গতি প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি আজ রাত ১০টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে আমরা ১০টি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। জেলাগুলো হচ্ছে- পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর।”


আরও পড়ুন: ১২ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার নির্দেশ


তিনি আরও বলেন, “আমাদের সর্বশেষ যে পর্যবেক্ষণ, সেখানে আমরা দেখছি এটা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আমরা অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আশা করছি রাত ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গার মানুষগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারব। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে ১০টি জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।”


দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যুর হার আমরা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পেরেছি। কাজেই আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছি না।”


জেবি/এসবি