গাজায় বিপর্যস্ত মানবতা, জ্বালানি সংকটে একদিনে বন্ধ ৬ হাসপাতাল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৫৯ অপরাহ্ন, ২৫শে অক্টোবর ২০২৩
ফিলিস্তিন, একটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামী সংগঠন হামাস এর হামলার জবাবে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। আর এতে মানবতার চরম বিপর্যয় দেখলো বিশ্বাবসী। হাসপাতাল থেকে তীর্থস্থান কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না ইসরাইল এর হামলা থেকে। ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনি এ সমস্ত দারিদ্র্য ও কর্মবিহীন বেসামরিক নাগরিকদের এক তৃতীয়াংশ সরাসরি জাতিসংঘ, দাতা দেশ ও বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
ইসরাইল- হামাস যুদ্ধের কারণে রাফাহ ক্রসিং ১৫ দিন বন্ধ থাকে, এর ফলে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ প্রবেশ করতে পারেনি গাজায়। ইসরাইলি বিমান বাহিনীর অতর্কিত হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের শুরু হয়।
এ ব্যাপারে উদ্বেক জানিয়েছে বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ। গাজা উপত্যকায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ না পৌঁছালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (ডঐঙ) । এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘যদি গাজায় জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি ও মেডিকেল পণ্য সরবরাহ না করা যায়, সেক্ষেত্রে শিগগিরই হাজার হাজার রোগীর মৃত্যু দেখতে হবে আমাদের।’
গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়ালাইসিস সেবা নেন প্রায় ১ হাজার রোগী। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছে অন্তত ১৩০ জন অপরিপক্ক (প্রিম্যাচিউর) শিশু। সেই সঙ্গে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এমন বহু রোগী রয়েছেন, যাদের জীবন রক্ষার জন্য হাসপাতালে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সংস্থা ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে গাজার হাসপাতাল, ও পানি সরবরাহকেন্দ্র চালু রাখার জন্য সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কো অর্ডিনেশন অব হিম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স এক বিবৃতিতে বলেছে, ”গাজা উপত্যকার হাসপাতাল, বেকারি এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে চালু রাখার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ৮০০ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল প্রয়োজন।”
এ পরিস্থিতিতে রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয় ইসরাইল। গত কয়দিনে এই ক্রসিং দিয়ে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করলেও জ্বালানি তেলবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি গাজায়।
এ প্রসঙ্গে ইসরাইলের ভাষ্য হলো, গাজা পুরোপুরি হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকা, যদি সেখানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়, সেক্ষেত্রে হামাস তা চুরি করে নিজেদের সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।
জেবি/আরআর