শ্রমিক আন্দোলনে সহিংসতা

শ্রমিকের দখলে সড়ক, প্রায় ৫০কারখানা ভাঙচুর


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৩১ অপরাহ্ন, ৩১শে অক্টোবর ২০২৩


শ্রমিকের দখলে সড়ক, প্রায় ৫০কারখানা ভাঙচুর
শ্রমিকের দখলে সড়ক। ছবি: জনবাণী

টানা ৮ম দিনের কর্মসূচিতে অন্যদিনের চাইতেও ব্যাপক সহিংসতায় লিপ্ত হন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। গাজীপুরের ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক, কোনাবাড়ি এলাকায় কিছুটা কমতি থাকলেও, ভোগরা বাইপাস, নাওজোড়,চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় ৫০টি পোশাক কারখানা ভাঙচুর করেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা। 


মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে এ আন্দোলন শুরু করে প্রায় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।  এতে প্রায় দুই ঘন্টার মত যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।


তবে কারখানার মালিকপক্ষ বলছেন উল্টো কথা, মালিক পক্ষের দাবি, শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মানতে আমরা প্রস্তুত এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রস্তুত। তবে এ আন্দোলনে বিএনপি ও জামাতের অনুপ্রবেশকারীরা অংশগ্রহণ করায় ব্যাপক সহিংসতা হচ্ছে। যা শ্রমিকদের কাছ থেকে কখনোই কাম্য নয়। 


এরকম প্রতিনিয়ত ভাঙচুর হলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই।


সরেজমিনের তথ্য সংগ্রহ দেখা যায়, গার্মেন্টস শ্রমিক দের আন্দোলনের নামে সহিংসতার কারণে, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ ও মহাসড়কের পাশে অবস্থিত দোকানদাররা। সংবাদ সংগ্রহ কালের সাংবাদিকদেরও বাধা প্রদান করেন অনুপ্রবেশকারী শ্রমিক নামে কিছু ব্যক্তি। যাদের কারখানার চাইলে কোন প্রকার পরিচয় দিতে পারেননি। কারখানার পরিচয় না দেয়া ব্যক্তিগুলোই পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও জনগণের ভোগান্তির কারণ। বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধের ডাক থাকলেও চিহ্নিত কোন বিএনপি নেতাকে না দেখা গেলেও শ্রমিকদের মধ্যে মিশে গিয়ে, অবরোধ সফল করার পায়তারা করেন। ও মহাসড়ক দখল করেন।


অপরদিকে, সহিংসতা এড়াতে ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বিজিবি ও র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় ২ ঘন্টা পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে এ শ্রমিক আন্দোলন আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 


আরএক্স/