প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনের দরবার হলে এই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। এরপরই সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আর এর মাধ্যমে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন।
শুক্রবার শপথ অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে দরবার হলে প্রবেশ করেন নতুন প্রধান বিচারপতি। তার কিছুক্ষণ পর রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা একসঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন। রাষ্ট্রপতি শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়ালে নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
শপথ পড়ার পর নিয়ম অনুযায়ী শপথনামায় সই করেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি। শপথ শেষে রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা জানান নতুন প্রধান বিচারপতিকে।
সাধারণত আইনাঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা এবং সরকারের মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৬০ জনের জন্য আসন রাখা হয়েছিল।
শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তিন বাহিনী প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, উচ্চ আদালতের দুই বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন। ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, কুষ্টিয়ার খোকসায়। তাঁর পিতা মরহুম আবদুল গফুর মোল্লা ও মাতা মরহুমা নূরজাহান বেগম। তিনি ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন।
এরপর ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বর্তমান আপিল বিভাগের এ বিচারপতি।
তিনি ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।