১২ দিনেও ফেরেনি অপহৃত রাসেল

প্রদক্ষিণ করে রাসেলের মুক্তির দাবী জানিয়ে শহরের মুল পয়েন্ট শাপলা চত্বরে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে তারা।
বিজ্ঞাপন
অপহরণের ১২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনো ফিরেনী অপহৃত রাসেল। প্রশাসনের উদ্ধার তৎপরতা থাকলেও সন্ধান মিলছেনা মো: সফিকুল ইসলাম রাসেল (২৭) এর। কি ঘটেছে তার ভাগ্যে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার-তার পরিবার-স্বজনরা।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও রাসেল মুক্তি পরিষদ। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাসেলের মুক্তির দাবী জানিয়ে শহরের মুল পয়েন্ট শাপলা চত্বরে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে তারা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশ থেকে ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা কঠোর হরতাল পালনের ঘোষনা দেন সংগঠন দুটি। একই সাথে অপহৃত রাসেলকে ফিরিয়ে না দিলে বুধবার তিন পার্বত্য জেলায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারী দেন সংগঠনগুলো।
বিজ্ঞাপন
চলতি মাসের ৯ নভেম্বর আট মাইল এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়। বাগান দেখানোর কথা বলে তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে বলে পরিবার সূত্র জানায়। মুলত বাগান দেখার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন গাছ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম রাসেল।
এরপর আর ঘরে না ফেরায় বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়ার এক পর্যায়ে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংঙ্কের চাঁদা দাবী করলে ভাইকে ফিরে পেতে দাবীকৃত অর্থ দেওয়ার পরও রাসেলকে ফিরিয়ে দেয়নি দুস্কৃতকারীরা। অপহরণের দীর্ঘ ১২ দিন পার হয়ে যাওয়ায় তার পরিবারের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাসা বেঁধেছে। দুশ্চিতায় দিন কাটাচ্ছে রাসেলের পরিবার।
বিজ্ঞাপন
অপহৃত রাসেলের ভাই রাজিব জানান, প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এখন পর্যন্ত কোন সন্ধান দিতে পারছে না তার ভাইয়ের। থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তাই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তার ভাইকে সুস্থ ভাবে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান অপহৃত রাসেলের ভাই রাজিব।
বিজ্ঞাপন
এদিকে অপহরণের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে রাসেলকে অক্ষত অবস্থায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তির দাবিও জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ায় পর ধারাবাহিকভঅবে কর্মসুচী চলমান রয়েছে।
এ ঘটনার জন্য ঐ এলাকায় নিয়ন্ত্রনাধীন আঞ্চলিক সংগঠনকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দোষারোপ করলেও তা অস্বীকার করে সংগঠনের নেতারা। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ আতঙ্ক। অপহৃত রাসেলকে খাগড়াছড়ির কল্যাণপুরের বাসিন্দা মো. বাচ্চু মিয়ার ৫ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সে তৃতীয়। সে পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (গত ৯ নভেম্বর) দুপুরের পর তাকে খাগড়াছড়ির আট মাইল এলাকার রুচি চন্দ্র কারবারীপাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয় তাকে। এর মধ্যে শফিকুলের মোবাইল থেকে ফোন করে প্রায় দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ নেয়ার পর থেকে আর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অপহরণকারীরা।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিখোঁজ রাসেলের উদ্ধারে কাজ করছে। তদন্ত চলমান আছে এবং অপরাধীরা ছাড় পাবেনা বলে জানিয়ে রাসেলের সন্ধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরএক্স/
বিজ্ঞাপন








