নৌ পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে ধংসের পথে কারেন্ট জাল ফ্যক্টরী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১১ অপরাহ্ন, ২১শে নভেম্বর ২০২৩


নৌ পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে ধংসের পথে কারেন্ট জাল ফ্যক্টরী
পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা। ছবি: সংগৃহীত

এক সময়ের মুন্সীগঞ্জ ছিলো অবৈধ কারেন্ট জালের অভয়ারন্য। বেঙের ছাতার মতো অবৈধ কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি। গড়ে অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীর সংখ্যা ছিলো ৫ হাজারের অধিক।


 ২ বৎসরের ব্যবধানে প্রায় ধংসের পথে এই কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীগুলো।  এখন ১৮০ থেকে ১৯০ টির মতো রয়েছে কারেন্ট জাল ফ্যক্টরী। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে দু:সাহসিক পুলিশ কর্মকর্তা  নৌ পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের অভিভাবক পুলিশ সুপার মিনা মামুদা বিপিএম এর কারনে । তাহার দিক নির্দেশনা মোতাবেক মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক সারাশী অভিযানের মাধ্যমে । 


পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম নৌ পুলিশ  নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর পাল্টে গেছে নৌ পুলিশের পুর্বের চিত্র,আইনশৃঙ্খলা বাহীর হয়েছে উন্নতি । তাহার সঠিক দিক নির্দেশনায় মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের রুপরেখা বদলে গেছে,হয়েছে সেখানে অবকাঠামোর উন্নয়ন। গড়ে ওঠেছে সৌন্দর্যবর্ধন ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। আর অপরাধ জগতের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম এসপি মিনা মাহমুদা। 


তাহার এই দু:সাহসিকতার দৃষ্টান্ত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নে বহু বছর পুর্বে থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীর অভয়ারণ্য কে ধংস করা। যেখানে এই অবৈধ কারেন্ট জালের বিস্তারকে কেউ রোধ করতে পারেনি,  একমাত্র  এই সাহসিক পুলিশ অফিসার এসপি মিনা মাহমুদার মধ্য দিয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে এসকল ফ্যক্টরীতে উদ্বার অভিযান করে ,মামলা দিয়ে আজ এসব অবৈধ ফ্যক্টরীকে ধংস করা সম্ভব হয়েছে। 


মান্যবর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মুক্তারপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান গত ২২-০৮-২০২২ ইং তারিখে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করার আগে অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরী ছিলো ৫ হাজারের অধিক। 


পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম এর নির্দেশনায় শুরু করেন অভিযান । আর অভিযানে ২০২২ সালে অবৈধ নৌযান ( বাল্পহেড) এর  বিরুদ্ধে মামলা ৫’শতাধিকের অধিক মামলা দিয়েছেন। আর অবৈধ কারেন্ট ফ্যক্টরীর বিরুদ্ধে ১২০ এর অধিক মামলা রজু করেছ।  


অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্বার ২০২২ সালে ২৮ কোটি মিটার।যার অনুমান মুল্য ৮ শত ৪০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্বার প্রায় ৩২ কোটি মিটার। যার অনমানিক মুল্য ৯শত ৬০ কোটি টাকা। অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীর এর বিরুদ্ধে ১২০ থেকে ১২৫টির মামলা রজু করেন। চায়না দোয়ারী জাল উদ্বার ৫ হাজার পিস। 


যার অনুমানিক মুল্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। অবৈধ নৌকা ২০২২ সালে মোট ৮টি। চোরাচালান মামলা ২ টি। ২০২২ সালে জাটকা উদ্বার ৯ হাজার কেজি যার মুল্য ৪৫ লক্ষ টাকা। ২০২৩ সালে জাটকা উদ্বার ৭২০ কেজি। যার মুল্য ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও নদী দোষন মামলা,নদীতে চাঁদাবাজি রোধ,লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানী মুক্ত।

  

এবিষয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এস এম আব্দুস সোবহান বলেন,আমি এই নৌ পুলিশ স্টেশনে যোগদান করার পর এই এলাকায় অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরীর সংখ্যা ছিলো প্রায় ৫ হাজারের অধিক । আমাদের মান্যবর পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা স্যারের দিক নির্দেশনা মোতাবেক আমি আমার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। 


বর্তমানে এই এলাকায় অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টরী আগের তুলনায় অনেক কম। ৫ হাজার ফ্যক্টরী থেকে এখন প্রয় ১৮০ থেকে ১৯০ টির মতো ফ্যক্টরী আছে এলাকায় । সেগুলোও একসময় থাকবেনা। আর এসকল কিছু করা সম্ভব হয়েছে মান্যবর পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা স্যারের জন্য। 


অবৈধ কারেন্ট জাল ফ্যক্টারীর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। নদীপথে যাত্রীসাধারনের যাতায়াতে তাদের নিরাপদের জন্য নৌ পুলিশের টহল সব সময় অব্যাহত রয়েছে।


আরএক্স/