বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের চড়া মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গত অর্থবছরে বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত সরকারের ঋণ দেওয়ার ফলে অতিরিক্ত টাকা ছাপাতে হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করেছে সরকার। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে মুদ্রা প্রবাহে সংকোচন নীতি অবলম্বন করেন। ২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে অর্থপ্রবাহ কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই মাস শেষে দেশের মুদ্রাবাজারে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে যার পরিমান দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে অর্থ প্রবাহ কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। 

জানা যায়, জুলাই মাসে দেশের প্রচলিত মুদ্রার মধ্যে সরকারি নোট ও কয়েন ছিল ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাস শেষে সরকারি নোট ও কয়েন বেড়ে দাড়ায় ১ হাজার  ৮২১ কোটি টাকা।

অপরদিকে জুলাই মাস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাড়ায় ২ লাখ ৭৫ হাজার  ৪৯১ কোটি টাকা। আলোচ্য এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে টাকার জোগান কমিয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশে রিজার্ভের পরিমাণ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা যায়, সরকারকে ঋণ দেওয়া কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে ৭১ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাপানো টাকায় ঋণ না দেওয়ায় স্থিতি কমেছে ৫৭ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: ১৭ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণের স্থিতি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাড়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। স্থিতি বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা যা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংক খাত থেকে নিয়েছে এসব ঋণ।

২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। গত ১লা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ না নিয়ে আগের ঋণ থেকে পরিশোধ করেছে ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

জেবি/এসবি