দুমকীতে ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩


দুমকীতে ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ
সংবাদ সম্মেলন।

পটুয়াখালীর দুমকীতে বৃদ্ধা মায়ের প্রতি অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বড় ছেলে সেলিম সিকদারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের এবং দুমকী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিতা ওই মা।


শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় দুমকী প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে মা সমের্তবান বেগম(৭২) সংবাদ সম্মেলন করে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।


উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত. আঃ বারেক সিকদারের স্ত্রী সমের্তবান লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি এক সময় বড় ছেলে সেলিম সিকদারের নতুন বাড়িতে থাকতেন। জমিজমাকে কেন্দ্র করে তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হলে ছোট ছেলে আশিকুর রুমন ও সুমন সিকদারের কাছে পুরান বাড়িতে চলে যান। নির্যাতনের কথা এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানালেও কোন বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেন।


সত্তরোর্ধ এ মা অভিযোগ করে আরও জানান, এখন তাঁর ওই ছেলে কোনো খোঁজ-খবর নেয় না, টাকা পয়সা দেয় না। উল্টো এ বছরের ২১ নভেম্বর বেলা ১২ টার দিকে তার স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ছেলে নূরে আলম সিকদারসহ এক দল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী পুরান বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এতে  তিনি ও তাঁর ছোট ছেলে রুমন আহত হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।


এ ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে সেলিম সিকদার উল্টো দুমকী থানায় মামলা দিয়ে তার ছোট দুই ছেলেকে জেল খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপায়ান্তর না পেয়ে নির্যাতিতা এ মা গত ২৯ নভেম্বর পটুয়াখালী আদালতে বড় ছেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে সে ঘোরাফেরা করছে এবং মামলার সাক্ষীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।


এদিকে ২১ নভেম্বরের ঘটনায় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন, নাসির সিকদার, নূর মোহাম্মদ, শাহিন হাওলাদার, পারুল বেগম, নেছার মাওলানা, দেলোয়ার হোসেন  জানান, উপজেলার মাদ্রাসা ব্রিজ এলাকায় ছোট ভাই সুমন সিকদার ও বড় ভাই সেলিম সিকদারের মধ্যে ব্যাংকের ঋণ গ্রহণ ও কিস্তি পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। পরে সেলিম সিকদারের ছেলে নূর আলম সিকদার পুরান বাড়িতে বহিরাগত লোকজন নিয়ে ছোট চাচাদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।


এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মোঃ বশির উদ্দিন জানান, এর আগে মা'কে মারধরের অভিযোগ পেয়ে বাড়ি লোকজনদের জিজ্ঞেস করলে এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।


মা'কে নির্যাতনের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা জানান, মায়ের অভিযোগকৃত ওই ঘটনা সত্য নয়।


আরএক্স/