প্রাথমিকের চাকরির পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৩ নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫০ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের প্রথম পর্বের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম পর্বে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
২. পরীক্ষার দিন সকাল ৯টায় প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং পরীক্ষার হলে ওএমআর শিট দেওয়া হবে।
৩. পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ওএমআর ফরম জমা না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। তাই পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সব প্রয়োজন মিটিয়ে আসতে হবে।
৪. কক্ষ পরিদর্শকের অনুমতি ব্যতীত নিজ আসন ছাড়া অন্য কোনো আসনে বসা যাবে না।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু
৫. প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মুঠোফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি-জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিকস হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, যোগাযোগের যন্ত্র বা এ-জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন, তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬. পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকক্ষে অবস্থানকালে অবশ্যই উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৭. আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীর প্রদত্ত ছবি হাজিরা শিটে থাকবে এবং ইনভিজিলেটর এ ছবি দিয়ে পরীক্ষার্থীকে যাচাই করবেন। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮. আবেদনপত্রে প্রার্থীর দেওয়া স্বাক্ষরের সঙ্গে পরীক্ষার হাজিরা শিটে এবং ওএমআর শিটে প্রদত্ত স্বাক্ষরসহ সব তথ্যে মিল থাকতে হবে।
৯. পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।
১০. একজন পরীক্ষার্থীর জন্য ওএমআর ফরমের সেট কোড পূর্বনির্ধারিত থাকবে। পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত ওএমআর ফরমের সেট কোডটি প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে।
১১. পরীক্ষার হলে যে ওএমআর ফরম দেওয়া হবে, সেখানে সেট কোডের ঘরে প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা কোডটির বিপরীতে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
১২. ওএমআর ফরম পাওয়ার পর ফরমের ডান দিকে নিচে লেখা নির্দেশনা খুব ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
১৩. পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সেট কোড এবং ওএমআর ফরমের সেট কোড ভিন্ন হবে। পরীক্ষার্থীর ওএমআর সেট কোডের বিপরীতে কোন সেট কোডের প্রশ্ন পাবেন, তা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়ে দেবেন। পরীক্ষার্থী সঠিক কোডের প্রশ্নটি পেলেন কি না, তা নিজে নিশ্চিত হবেন।
১৪. প্রবেশপত্রে নির্ধারিত ওএমআরের সেট কোড ব্যতীত অন্য সেট কোডে পরীক্ষা দিলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৫. রোল বা সেট কোডের বৃত্ত পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৬. হাজিরা শিটের সঠিক স্থানে পরীক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে এবং হাজিরা বৃত্তটি পূরণ করতে হবে, তা না হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৭. ওএমআর ফরমের উপরিভাগের নির্ধারিত সব টেক্সটবক্স নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে, অন্যথায় উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৮. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে আপনার আসন কোন রুমে, তার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এক পরীক্ষার্থীর জায়গায় অন্য কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে।
১৯. পরীক্ষা চলাকালে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কিংবা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করা হলে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হবে।
২০. পরীক্ষার আগে, চলাকালে কিংবা পরে পরীক্ষার্থী কক্ষ পরিদর্শকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে বা কোনো অন্যায় আচরণ করলে ও তা প্রমাণিত হলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে।
২১. পরীক্ষার হলে কক্ষ পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
২২. পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শক লেখা বন্ধ করতে বলার সঙ্গে সঙ্গে লেখা বন্ধ করতে হবে।
২৩. কক্ষ পরিদর্শক কর্তৃক ওএমআর ফরম ও প্রশ্নপত্র জমা নেওয়ার পর তারা তা গুনে সব ঠিক পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের যার যার আসনে বসে থাকতে বলবেন। তারা যেতে না বলা পর্যন্ত কেউ কক্ষ ত্যাগ করবেন না।
জেবি/এসবি