জিমেইলে হ্যাকার চক্র যে ৩ কৌশলে প্রতারণা করে
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৩
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ১৫০ কোটির ও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছেন জিমেইলের। আর তাই এসব ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে নিয়মিত জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইবার হামলা চালিয়ে থাকে হ্যাকার গ্রুপের চক্ররা। এ জন্য জিমেইল ব্যবহারকারীদের সকল তথ্য নিরাপদে রাখতে গুগল বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও সাইবার হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেকে। জিমেইল ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলতে মূলত হ্যাকার চক্রটি তিনটি কৌশলে সাইবার হামলা বেশি করে থাকে। জিমেইলে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত কৌশলগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ই–মেইল
জিমেইলের মাধ্যমে প্রতারণার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ই–মেইল বেশি পাঠিয়ে থাকে হ্যাকাররা। এসব ই–মেইলে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট আপেডেটের কথা বলে ব্যাংকের গোপন কার্ড নম্বরসহ বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। অনেক সময় অ্যাকাউন্ট বান্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় ই–মেইলগুলোতে। ব্যাংকের পাঠানো ই–মেইলের ভাষা অনুকরণ করে এসব ই–মেইল পাঠানো হয়। অনেকেই ভুল করে গোপন কার্ড নম্বরসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য জানিয়ে দেন। ফলে খুব সহজেই ব্যবহারকারীদের অর্থ ও তথ্য চুরি করতে পারে হ্যাকার চক্রের সদস্যরা।
মিথ্যা ও প্রলোভনমূলক ই–মেইল
বিভিন্ন দিবস বা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জিমেইলে স্প্যাম ও ফিশিং আক্রমণ বেশি করে হ্যাকারদের চক্রটি। এসব ভুয়া ই–মেইলগুলোতে সাধারণত কম দামে পণ্য বিক্রিসহ বিনা মূল্যে বিভিন্ন সুবিধাসহ আকর্ষণীয়সব অফার দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। শুধু তা–ই নয়, বেশ লাভজনক ভুয়া ব্যবসায়িক ই–মেইলগুলোও পাঠায় হ্যাকাররা। এসব ই–মেইলে ক্লিক করা মাত্রই যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সাইবার হ্যাকারদের দখলে।
ক্ষতিকর বিভিন্ন সাইটের লিংকসহ ই–মেইল
জিমেইলে প্রতারণার জন্য হ্যাকাররা যেসব ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে, এগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই ক্ষতিকর বিভিন্ন সাইটের লিংক যুক্ত করা থাকে। এসব ই-মেইলে বেশির ভাগ সময়ই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সুয়োগ-সুবিধা পেতে নিবন্ধন করতে বলা হয় এই ই–মেইলগুলোতে। কিন্তু লিংকে প্রবেশ করা মাত্রই যন্ত্রে স্পাইওয়্যার সফটওয়্যার ও ভাইরাস প্রবেশ করে।
নিরাপদ থাকবেন যে উপায়ে
জিমেইল ব্যাবহারে নিরাপদ থাকার জন্য প্রথমেই নতুন পাঠানো ই–মেইলের উৎস যাচাই-বাছাই করতে হবে। অনেক সময় এ চক্ররা ব্যবহারকারীদের বোকা বানানোর জন্য পরিচিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নামে ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই ই–মেইল ঠিকানার কিছু শব্দ পরিবর্তন করে ভুয়া ই–মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে। আর তাই অন্যদের পাঠানো ই–মেইল খোলার আগে সেটির ঠিকানা ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে। শুধু তা–ই নয়, পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো ই–মেইলে থাকা সব ধরনের লিংকে প্রবেশ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
দুই স্তরের নিরাপত্তা
সাইবার হামলা থেকে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে দুই ধরনের নিরাপত্ত সুবিধা রয়েছে জিমেইলের সেটিংস এ। এ সুবিধা চালু থাকলে পাসওয়ার্ড লেখার পর ব্যবহারকারীর ফোনে ম্যাসেজ বা কোড পাঠানো হয়। কোডটি ব্যবহার করেই শুধু অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যায়। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড হ্যাক করলেও জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকে।
এমএল/