১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দেয় ইউটিউব?


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:০৬ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৪


১ মিলিয়ন ভিউতে কত টাকা দেয় ইউটিউব?
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম হলো ইউটিউব। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে কনটেন্ট নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ উপার্জন করে থাকেন। একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে ভিডিওটি কেমন তার, সেটি দেখা হয়েছে কোন কোন দেশ থেকে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর। তবে মূল বিষয় ভিডিওটি কত দর্শক দেখেছেন এটিই একটি ভিডিও কে বিচারের অন্যতম মানদণ্ড।


ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় শুরু করতে চাইলে ভিডিও আয় সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসাবে দেখা হয়।


ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও হতে ১ - ২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ টাকা থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে অনেক বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত উপার্জন হবে এক ভিডিও থেকে।


আরও পড়ুন: ভিডিও থেকে আয়ে শীর্ষে ফেসবুক না ইউটিউব?


শুরুর দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।


ইউটিউবে ভিডিওর ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত আয় করা যাবে, তা প্রভাবিত করে এমন কিছু প্রধান কারণ-


অ্যাডভার্টাইজিং রেট (CPM) : প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, তা সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন- ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।


ভিউয়ারদের লোকেশন : CPM এবং CTR একেক দেশে এক এক রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলিতে CPM এবং CTR বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।


ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) : ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর ওপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। CTR যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে।


ভিডিও-র বিষয়বস্তু : ফিনান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো বেশ কিছু বিষয়ের উচ্চতর CPM এবং CTR থাকে। যার ফলে উপার্জনও হয় বেশি।


ভিডিওর দৈর্ঘ্য : ভিডিওগুলি যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে আয়ও হয় বেশি।


ইউটিউব প্রিমিয়াম : ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মনিটাইজ করা যেতে পারে।


আরও পড়ুন: এনআইডি কার্ড হারিয়ে গেলে যা করা জরুরি


ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ : নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।


ইউটিউব-এ ১ মিলিয়ন ভিউ অর্জন করার প্রক্রিয়াটি : YouTube Partner Program (YPP)-তে যোগ দিতে হবে। এটি ইউটিউবের মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম। যা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে নিজের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখাতে এবং অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম করে। YPP-তে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিয়েটরদের কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং গত ১২ মাসে ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকা আবশ্যক।


আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সক্ষম করুন : একবার YPP-তে যোগ দিলে ক্রিয়েটররা নিজেদের ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপন এনেবল করতে পারবেন। এমনকী তিনি কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দর্শাতে চাইছেন, সেটাও বেছে নিতে পারেন।


দর্শকদের আকর্ষণ করুন : যত বেশি মানুষ ভিডিও দেখবে, তত বেশি অর্থ উপার্জন হবে। নিজের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে ক্রিয়েটরদের উচ্চ-মানের ভিডিও তৈরি এবং প্রোমোট করতে হবে।


নিজের উপার্জন ট্র্যাক করার উপায় : YouTube Analytics ব্যবহার করে নিজের উপার্জন ট্র্যাক করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রিয়েটর দেখতে পাবেন যে, তার ভিডিওগুলো কতটা ভালো পারফর্ম করছে এবং তিনি কত টাকা উপার্জন করছেন। এটা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউটিউবে ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ উপার্জন করা সহজ নয়। সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম, ডেডিকেশন এবং সৃজনশীলতার প্রয়োজন হবে।


ইউটিউবে আরও অর্থ উপার্জন করার কিছু টেকনিক :


১. নেটিজেনদের আকর্ষণ করে এমন উচ্চ মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে।

২. SEO-র জন্য নিজের ভিডিও অপ্টিমাইজ করতে হবে।

৩. সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভিডিও প্রচার করতে হবে।

৪. অন্যান্য


জেবি/আজুবা