খালি পেটে ঘি খেলে যেসব উপকার মেলে
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩
এমন কিছু খাবার আছে যা খালি পেটে খাওয়া যায় না বা খাওয়া ঠিক না। আবার বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো খালি পেটে খেলে তার উপকারিতা অনেক বেড়ে যায়। আর ঘি হলো তেমনই একটি খাবার। যা খালি পেটে খেলে মিলবে বহুগুণে লাভ। ঘি সব সময়ের জন্যই স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর একটি খাবার। আর ঘি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় তবে আরও বেশি পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে ঘি কেন খাবেন-
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে
ঘিয়ে বিদ্যমান প্রাকৃতিক অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিড পেটের চর্বি কমাতে কাজ করে। এতে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা থ্রি থাকাই কমে যায় অপ্রয়োজনীয় বডি ফ্যাট। যারা অনেক পরিশ্রম করেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাদের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার হতে পারে ঘি। তবে এটি খেতে হবে সকালে খালি পেটে। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকার পাশাপাশি কমে যাবে শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল।
২. মাথার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
মাথার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ঘি কাজ করে থাকে। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে মস্তিষ্কের বেশি সাহায্য করে। মাথার বিভিন্ন অংশকে সঠিক ভাবে কাজ করতে সহায়তা করে ফ্যাট। আর ফ্যাটের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো ঘি। এছাড়াও ঘিয়ে রয়েছে নানা ধরনের প্রোটিন। তাই নিয়মিত ঘি খেলে মাথাই যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পৌঁছে যায়। সেইসাথে বাড়ে প্রখর স্মৃতিশক্তি ও।
অন্যদিকে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো অসুখ কে দূরে রাখতে সাহায্য করে ঘি। হাড়ের জয়েন্টে স্বাভাবিক লুব্রিক্যান্ট হিসাবে কাজ করে এক ধরনের তরল। খালি পেটে ঘি খেলে তখন সেই লুব্রিকেন্ট তৈরি হবে এবং এর ফলে জয়েন্টের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও দূর হবে। আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে ঘি।
৪. রক্ত সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে
নিয়মিত ঘি সেবনে তা রক্ত সঞ্চালনের কাজে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এভাবে সকালটা শুরু করলে আপনার সারা শরীরে সারা দিন রক্তসঞ্চালনে বিশেষ সুবিধা হবে। এই অভ্যাস শরীরের বিভিন্ন কোষে ফ্রির্যাডিকেল কমাতেও সাহায্য করে। সেইসাথে রক্তসঞ্চালন সঠিক থাকায় সুস্থ থাকাও অনেক সহজ হয়।
৫. যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রত্যেকের জন্য সব খাবার সমানভাবে কাজে আসে না। খালি পেটে ঘি সেবনে আপনার আসলেই উপকার হবে নাকি অপকার হবে, তা আগে ভালো করে জেনে নিন। এক্ষেত্রে ভালো কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। এর পাশাপাশি ঘি খাওয়ার পরে আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া দেখেও আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে ঘি খাবেন কি খাবেন না। তবে একসাথে বেশি ঘি খাবেন না। প্রতিদিনে এক চামচ ঘি খেলেই তা অনেক।
এমএল/