অপপ্রচার-বিভ্রান্তিকর সমালোচনা বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জেলা ছাত্রদলের

শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে ঘিরে ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ও তার অনুসারীদের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সমালোচনার বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা ছাত্রদল। 

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাক্ষরিত ছাত্রদলের একটি পেইডে এ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির চলমান এক দফা দাবী আদায়ের আন্দোলনকে আরও গতিশীল করার জন্য ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ মতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে ৩ ডিসেম্বর শেরপুর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি অনুমোদন করেন। 

কমিটি হওয়ার পরদিন ৪ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন উনার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিকে নানা ভাবে অপ্রাসঙ্গিক মিথ্যাচার করে এবং বিভিন্ন প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি উল্লেখ্য করেন যে বর্তমান কমিটি সক্রিয় থাকার পরেও কেন নতুন কমিটি হলো তার এমন প্রশ্নের জবাবে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিগত কমিটি মেয়াদউর্ত্তীণ এবং ২৭৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৮০ ভাগের বেশি কমিটিতে স্থান পাওয়াদের নিষ্ক্রিয়তা কারণে আন্দোলনের মাঠে সক্রিয়দের নিয়ে কেন্দ্রীয় সিন্ধান্ত মোতাবেক নতুন এই আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

লেনদেন ও একজন ব্যক্তিকে খুশি করতেই এমন পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে তার এমন প্রশ্নের জবাবে বর্তমান ছাত্রদল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, এটা পুরোরাই মিথ্যাচার। পরিষ্কার ভাষায় আমরা বলতে চাই শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত অস্থায়ী কমিটির সকলেই পরিক্ষিত এবং দীর্ঘদিন ধরে দলের প্রয়োজনে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। যারা এই রকম গ্রুপিংয়ের বুলি তারাই ছাত্রদলে গ্রুপিংয়ের নেপথ্যে ছিলো।স্থানীয়ভাবে তারাই ছাত্রদলের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে কলহ-কোন্দল সৃষ্টি করেছিল। বিভিন্ন অযোগ্য, নেশাগ্রস্ত, অছাত্রদের পদায়িত করেছিলো। তাছাড়া শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীকে জড়িয়ে যারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে মিথ্যাচার ও প্রোপাগাণ্ডায় লিপ্ত রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে শেরপুর জেলা ছাত্রদল নবগঠিত নেতৃত্বদ্বয় সর্তকসরূপ অবগত করে যে, দলীয় ভার্বমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কথাবার্তা থেকে উনার মতো সাবেক একজন ছাত্রনেতার কাছে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ প্রত্যাশা করে নাহ উনার শব্দচয়নে আরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং দায়ীত্বশীল জায়গা থেকে আরও সংশোধন থাকার প্রয়োজন।

আরএক্স/