দীর্ঘ বিরতী ভেঙে আবারো গাইলেন তিশা

অভিনেত্রী হিসেবে তার খ্যাতি ও পরিচিতি কমবেশি পৃথিবী জুড়েই রয়েছে। বলতে গেলে, একবিংশ শতকে ঢাকাই শোবিজে যে কয়েকজন অভিনেত্রী গল্পে-চরিত্রে বারবার নিজেকেই যেন ছাপিয়ে গেছেন, অন্য অনেকের মাপকাঠিতে নিজেকে পরিণত করেছেন, তাদের মধ্যেই একজন হলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। 

সেই তিশাই এবার আবির্ভূত হলেন গায়িকা হিসেবে। তাও নিছকই শখের বশে কোনও কাভার সং নয়, একেবারে আনুষ্ঠানিকভাবে মৌলিক গানে। যেটার শিরোনাম হল ‘অটোবায়োগ্রাফি’। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে এটি প্রকাশ হয়েছে অন্তর্জালের বিভিন্ন শাখায়।

গানের নাম শুনেই কেউ কেউ আঁচ করে ফেলেছেন আষল ব্যাপার সর্ম্পকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এই অভিনেত্রীর নতুন সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র জন্যই বানানো হয়েছে এই গানটি। যদিও এটি মূল সিনেমার কোথাও নেই। সেজন্যই আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গীতিকবি ইশতিয়াক আহমেদের কথায় গানটির সুর-সংগীত করেছেন পাভেল অরিন। কণ্ঠের পাশাপাশি এর দৃশ্যায়নেও দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর।

যেহেতু তিশাকে পর্দায়, অভিনয়ে প্রতিনিয়তই দেখা যায়, সুতরাং বর্তমানে মূল বিষয় তার কণ্ঠ। কী ভেবেই বা নীরবতা ভাঙলেন, আর অভিজ্ঞতাই বা কেমন হলো; এসব বিষয়ে গণমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে,

এর আগে একটি ছোট্ট বিষয় যোগ করা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকেই মূলত গান করতেন তিশা। গানে তার দখল, স্বীকৃতিও ছিল দারুণ। বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’র শৈশব পেরিয়ে তারুণ্যে গড়েছেন একটি ব্যান্ড দলও। ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’ নামের সেই ব্যান্ড দলের সদস্য হলো চার বন্ধু- তিশা, কণা, নাফিজা (প্রয়াত), রুমানা। অ্যালবামও প্রকাশ হয়েছে তাদের। এরপর অনেকটা শখের বশেই অভিনয়ে আসেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। আর এটাই হয়ে যায় তার আসল পেশা।

এবার জানা যাক গান বিষয়ে তিশার মন্তব্য, ‘আমি গান করতাম, ইনফ্যাক্ট গান গেয়ে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারও পেয়েছি। এটা অনেকেই জানেন। তবে অভিনয়ের ব্যস্ততায় দীর্ঘ সময় গান করা হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই গানটি গাইলাম।’

তিনি আরো জানান ‘আসলে “অটোবায়োগ্রাফি” আমার আর সরয়ারের খুব ব্যক্তিগত একটা সিনেমা। তো যে সময় এই গানটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, লেখা ও সুর হলো; শোনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে যে, গানটি আমি ভালো গাইতে পারবো। সেই সুবাদেই গানটি গাওয়া। তবে নিজের আত্মবিশ্বাস ছিল যে মানুষের ভালো লাগবে। আর এখন প্রকাশের পর দেখছি, প্রত্যাশার চেয়েও অনেক ভালোবাসা পাচ্ছি।’

শুধু গান নিয়েই নয় দূর , কোনও বিষয়েই আগাম ভাবতে চান না তিশা। এ অভিনেত্রী মনে করেন জীবন অনিশ্চিত। সেহেতু ভবিষ্যতে আবার কবে কখন গান করবেন, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাননা তিনি।

উল্লেখ্য, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ পরিচালনা করেছেন গুণী র্নিমাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। এর গল্প-চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি ও তিশা যৌথভাবে। এর বিষয়বস্তুতেও আছে তাদের জীবনের বাস্তবতার নির্যাস। আবার তাদের একমাত্র কন্যা ইলহামও রয়েছে এই সিনেমার অভিনয়ে। ফলে এটি ফারুকী-তিশা দম্পতির বাস্তব জীবনের সবচেয়ে নিকটের এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছবিও বটে। এছাড়াও ছবিটিতে অভিনয় করবেন  ডিপজল, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুর প্রমুখ। আর এটি দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে।

এমএল/