আদম তমিজীর গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন ডিবি প্রধান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩


আদম তমিজীর গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন ডিবি প্রধান
কথা বলছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ - ছবি: সংগৃহীত

হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 


শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১০টায়  রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। এর আগে, রাত ৮টার দিকে  তার গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবির একটি টিম।


ডিবি প্রধান, “হঠাৎ করে ফেসবুক লাইভে এসে আদম তমিজী হক বলা শুরু করলেন, তার মা হাফ ইসরাইল এবং তিনি ইসরাইল সরকারকে আহ্বান করলেন তাকে উদ্ধার করার জন্য। আবার তিনি আমেরিকান মেরিন সেনাদের আহ্বান করেন বাংলাদেশ তাকে আটকে রাখা হয়েছে, তাকে উদ্ধার করতে।”


তিনি আরও বলেন, “আসলে বাংলাদেশ সরকার যদি তাকে গ্রেফতারই করতো তাহলে তমিজী হক যখন এয়ারপোর্ট দিয়ে দেশে প্রবেশ করলেন তখনই তাকে আটকাতে পারতাম। কিন্তু দেখা গেল এয়ারপোর্ট দিয়ে এসে পাগলামি শুরু করেছেন।”


আরও পড়ুন: আদম তমিজী হক আটক


 হারুন অর রশীদ বলেন, “শুধু তাই নয় তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট তিনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে স্যোশাল মিডিয়াতে দেখাচ্ছেন। যে দেশে তার শিল্প কারখানা রয়েছে, তা দিয়ে তিনি চলেন, সেই দেশের পাসপোর্ট তিনি পুড়িয়ে ফেললেন। আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। 


তিনি আরও বলেন, এছাড়া তিনি অসংখ্য বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে। এর পরও আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করব- কেন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ও পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলে আনন্দ উল্লাস করছেন।


আরও পড়ুন: জেঁকে বসবে শীত, আসছে শৈত্যপ্রবাহ?


ডিবিপ্রধান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যদি মনে হয় আদম তমিজী হক মানসিকভাবে অসুস্থ তাহলে তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হবে চিকিৎসার জন্য। আর যদি তিনি ইন্টেনশনালি বাংলাদেশে বসে শিল্প কারখানা চালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


তিনি আরও বলেন, আদম তমিজী হক সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বলেছেন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে বলেছেন- তা তদন্ত করে বের করব। যদি মনে হয় তার রিহ্যাবে পাঠানো দরকার তাহলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। এর পর চিকিৎসা করে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


জেবি/এসবি