গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে সাধারণ পরিষদে ভোট মঙ্গলবার


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০১:০২ অপরাহ্ন, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৩


গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে সাধারণ পরিষদে ভোট মঙ্গলবার
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। বর্বর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।


সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্স কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলামান এই পরিস্থিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 


আরও পড়ুন: গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি অসম্ভব


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কূটনীতিকরা জানিয়েছেন।


এর আগে গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এরপরই সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


এর আগে গত অক্টোবরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাজায় অবিলম্বে, টেকসই ও স্থায়ী মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য আনা একটি প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হয়। সেই প্রস্তা‌বের প‌ক্ষে ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া সেসময় ভোটাভুটিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১২১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে এবং ৪৪টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।


অবশ্য চলতি ডিসেম্বর মাসেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফের আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করে অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।


আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে প্রাণ গেল ৬ জনের


সেই প্রস্তাবে উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দু’টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছিল আমিরাত। প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সব বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে সব বন্দিকে মুক্ত করতে হবে।


শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি পেশ করার পর সেটি গৃহীত হয় এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ভোটের জন্য উত্থাপন করা হয়। ভোটে পরিষদের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৫ সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে ১৩টিই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।


বাদ ছিল কেবল দুই স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটির বিরুদ্ধে সরাসরি আপত্তি বা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে। এতে করে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।


জেবি/এজে