৮ গবেষণা প্রকল্পে অনুদান পেলেন নোবিপ্রবির ১৬ শিক্ষক
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ১৬ জন শিক্ষক গবেষণা প্রকল্পের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য গবেষণা অনুদান পেয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। এ বছর ৬৯৬টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ গবেষণা প্রকল্পে ৮ জন প্রধান গবেষক ও ৮ জন সহকারী গবেষক হিসেবে মোট ৮ টি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী নীল দল
নোবিপ্রবি থেকে থেকে নির্বাচিত প্রধান গবেষকরা হলেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.আশরাফুল আলম,ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড.রাকিব উল ইসলাম,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. মহিনুজ্জামান,কৃষি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মেহেদী হাসান রুবেল, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ কুমার সরকার এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুস সাকিব খান।
এছাড়া সহকারী হিসেবে আরো ৮ জন সহকারী গবেষকরা হলেন, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামারুজ্জামান,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রতিমা সরকার, ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার রিমা,কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. পিযুষ কান্তি ঝা,বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাহসিন নায়রোজ, ফার্মেসী বিভাগের প্রভাষক মো.আব্দুল বারেক, ফিশারিস এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক ।
জাহানারা আক্তার লিপি এবং এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ফারিহা আফরোজ।
আরও পড়ুন: বিএনসিসির নোবিপ্রবি প্লাটুনের সিইউও সাজিদ
গবেষক ড. মেহেদি হাসান রুবেল তার গবেষণা সম্পর্কে জানান, তিনি রক মেলন চাষে এক ধরণের ছত্রাকের আক্রমণ লক্ষ্য করেন। যার ফলে সমস্ত চারা সিডলিং রট নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।পরে তিনি উক্ত ছত্রাকের (Lasiodiplodia theobromae) চিহ্নিতকরণ করেন এবং এটার বায়োলজিকাল কন্ট্রোল নিয়ে কাজ করছেন। উনার উক্ত কাজে সহযোগী গবেষক হিসেবে আছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের শিক্ষক ড. পিযুষ কান্তি ঝা।
জানা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ বিষয়ক প্রকল্পের গবেষণার জন্য ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে বিশেষ গবেষণা অনুদান দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান দেওয়া হয়। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। সাধারণত তিনটি ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রতি বছর বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স ও ইন্টার-ডিসিপ্লিনারি গ্রুপসহ ছয়টি গ্রুপে গবেষণা অনুদান দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহ দেওয়াই এই ফেলোশিপের মূল উদ্দেশ্য।
আরএক্স/