‘যে কয়দিন বাঁচব, ক্রিকেটের সাথেই থাকব’
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১২ অপরাহ্ন, ২৬শে ডিসেম্বর ২০২৩
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে পাঁচ বছর পর তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে পুনরায় নান্নুর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আর হাবিবুল বাশার সুমন নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন ১৩ বছর যাবত। আর আব্দুর রাজ্জাকের দায়িত্বের সময় বাকি দুজনের মতো এত বেশি নয়।
তবে সম্প্রতি একাধিক মেয়াদে কাজ করা নান্নুকে নিয়ে ক্রিকেট মহলে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। সমালোচনার মূল কারণ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টাইগার বাহিনীর চরম ব্যর্থতা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। স্কোয়াড নির্বাচন ও মাঠের পারফরম্যান্সে চরম হতাশার কারণে নির্বাচক প্যানেলে নতুন কাউকে নিয়োগের দাবিও উঠেছে ইতোমধ্যে।
আরো পড়ুন: আমি না সৌম্য নিজেই নিজেকে ফিরিয়েছে: হাথুরু
এদিকে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, মেয়াদ শেষে ম্যাচ রেফারি হতে চান বর্তমান প্রধান নির্বাচক। এবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে নান্নু জানান, এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে কেউ আমাকে জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না। আমি নির্বাচকের পূর্বে কোয়ালিফাইড লেভেল-থ্রি কোচ। আমার তো ওদিক নিয়েও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। খেলা ছাড়ার পর থেকেই ক্রিকেটের সাথে সময় কাটিয়েছি। আর বাকি জীবনটা তো ক্রিকেটের সাথেই কাটাতে চাই। তবে আমি কী করব, এটার সিদ্ধান্ত তো আমিই নেব।
আরো পড়ুন: ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে ব্রাজিল!
আমৃত্যু ক্রিকেটের স থাকার ইচ্ছে জানিয়ে নান্নুর ভাষ্য, বোর্ড তো এখনও পর্যন্ত আমাকে কিছু জানাননি। বোর্ড সভাপতি যখন জানাবেন, সে সময় থেকে আর কন্টিনিউ করছি না। সেটার পরিকল্পনা আমি তখন করব। আমাকেও তো কিছু করতে হবে। ক্রিকেট দিয়েই তো সারাজীবন পার করেছি। আর যে কয়দিন বাঁচব, কিছু তো করতে হবে, তাই আমার ইচ্ছা ততদিন ক্রিকেটের সাথেই থাকব।
নতুন চুক্তির বিষয়ে নান্নুর মন্তব্য, আজকে আমরা ১০ বছর ধরে কাজ করছি, এভাবেই যাচ্ছে। কোনো সময় কিন্তু বোর্ড বলে নাই যে চুক্তি শেষ বা এইটা-ওইটা। আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি, বোর্ড যদি মনে করে... কিন্তু বোর্ড মিটিং ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; সুতরাং সে সময়ই সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এমনও সময় গেছে যে চুক্তি নাই, এক বছর কাজ করার পরে যেয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তবে আমাদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি আছে, আর এটা বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, এই নির্বাচক প্যানেল রাখবে কী রাখবে না।
এমএল/