ভোলা-৩ আসনে নৌকার গলার কাঁটা ঈগল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১৫ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩


ভোলা-৩ আসনে নৌকার গলার কাঁটা ঈগল
নৌকা-ঈগল। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোলা-৩,আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক টেনশন বাড়িয়ে দিচ্ছে নৌকা ও লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থীদের। কারণ ওই  আসনে নৌকার বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ঈগল মার্কার প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা। 


হ্যান্ডমাইক ছিনিয়ে নেয়া, হামলা ভাংচুর নির্বাচনি আচারণবিধি ভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন ) আসনে নৌকা  প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওই আসনের  বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।


আরও পড়ুন: নির্বাচনী চা খাওয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি 


এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর অব. মো. জসিম ঈগল প্রতিক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে ত্যাগী ও পুরাতন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দের সমর্থন পেয়ে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে ততই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে মেজর অব. জসিমের  ঈগল । তথ্যমতে এর আগে তিনি গত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিশ পেয়েছেন তিনি। নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মো. তানভীর রহমান নির্বাচনে রাজনৈতিক দল প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮এর ৭ এবং ৮ নম্বর বিধিলঙ্ঘন,বৈদ্যুতিক খুটি, দালান, বেড়াসহ মোটোরসাইকেল সহকারে মিছিল ও প্রচার প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে এ নোটিশ প্রধান করেন।


এদিকে এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-৩ আসন নিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন নৌকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কা। তারা বলেন, এরই মধ্যে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাপক পরিচিত।


কিন্তু জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীদেরকে চিনে না এখান কার ভোটারসহ সাধারণ মানুষ। যখন ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর অবস্থান সুদৃড় তখন আগামী ৭ জানুয়ারীর ভোটে তারা কতটুকু সুবিধা আদায় করতে পারবে সেটিই এখন বিবেচ্য বিষয়।


তারা আরো বলেন, সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (নৌকা) ও দলের সাবেক সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর অব.জসিম উদ্দিনের (ঈগল) এর মধ্যে।


এর বাহিরে অন্য দুইজন প্রার্থী ভোলা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাও. কামাল উদ্দিন (লাঙ্গল) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলমগীর (ডাব), সাধারণ ভোটাররা এখনো তাদের চিনেন না বললেই চলে। 


শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে (লালমোহন-তজুমদ্দিন) গেলে স্থানীয় সুত্র  জানায় ২০০৮ সালে আসনটিতে আ.লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের-মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন।


মেজর জসিম উদ্দিন নির্বাচিত হওয়ার দেড় বছরের মাথায় চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের ৫বছর পূর্ণ না হওয়ায়  বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ মেজর অব. হাফিজ  সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট করেন পরে সুপ্রিম কোর্ট তার প্রার্থিতা বাতিল করে রুল জারী করলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আসনটি শূণ্য হয়ে যায়। পরে ২০১০ সালর ২৪ এপ্রিল উপ-নির্বাচনে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহাম্মদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সেই থেকে তিনি এ আসনের সংসদ সদস্য।


২০০৮ সালে ভোলা-৩ আসনটিতে আ’লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের-মত বিএনপির হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া


মেজর অব. জসিম উদ্দিনের জনবাণীকে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেও ভোটার গণ ভোট কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে যেতে পারলে আবারও তিনি মানুষের দুঃখের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।


আরও পড়ুন: ভোলার মনপুরায় অগ্নিকাণ্ড


এ বিষয় বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এ প্রতিবেদক কে বলেন আমি প্রচার প্রচারণায় যেখানেই যাচ্ছি জনসাধারণের উপস্থিত বলে দেয় আমি কতটুকু জনগণের পাশে ছিলাম।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বর্তমানে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন,


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেবেন। স্মার্ট বাংলাদেশে সকল সেবা থাকবে হাতের মুঠোয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন করা, দেশের মানুষকে নিরাপদে-শান্তিতে রাখা।


আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষ নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে ইনশাল্লাহ।


আরএক্স/