ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রসচিব


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৭ অপরাহ্ন, ১লা জানুয়ারী ২০২৪


ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রসচিব
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন - ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।


সোমবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি এ কথা জানান।


পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “একজন ব্যক্তির কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, তারও আপিল করার সুযোগ আছে। এটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। এ নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না।”


এর আগে এদিন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আদালত।


এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।


এর আগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন।


আরও পড়ুন: দোষ না করেও শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস


পরে ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত।


আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জামিন


আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না।


মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।


জেবি/এসবি