পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিকল্প খুঁজছে বিপিএলের দলগুলো

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ এখন প্রায় দেশে দেশে আয়োজন হচ্ছে। একমাত্র ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) বাদে অন্য দেশের লিগগুলো প্রায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ফলে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে সংকটে ভুগতে হয় টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষের মালিকদের।

যেমন ধরা যাক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হবে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি)। আবার একই সময়ে মাঠে গড়াবে আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি (আইএল টি-টোয়েন্টি), এসএ টি-টোয়েন্টি এবং নিউ জিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ। এসব টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখে শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)।

আরও পড়ুন: সিডনি টেস্টে সায়েমের অভিষেক হচ্ছে, বিশ্রামে শাহীন আফ্রিদি

এর কারনে বিপিএল শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে পড়তে হয়েছে অনিশ্চয়তায়।

পিএসএলে দল পাওয়া কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারসহ বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের বিপিএলের সম্পূর্ণ মৌসুম পাবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সেই জন্য আসর শেষ করতে বিকল্প ক্রিকেটারদের কথাও ভাবতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।

বিপিএলে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান থেকে শুরু করে ইফতেখার আহমেদ এবং মোহাম্মদ আমিরের মতো পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটাররা খেলবেন এবারের আসরে। এ ছাড়াও ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শ্রীলংঙ্কান তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা এবারের বিপিএলে মাঠ মাতাবেন

আরও পড়ুন: হার্শা ভোগলের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে নেই সাকিব

কিন্তু তাদের সবাইকে কী শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাবে এ নিয়ে যথেষ্ঠ শঙ্কা? বিশেষ করে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের, যাদের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএলের আগেই দেশে ফিরিয়ে নেবেন। যে সময় দল শেষ চারের লড়াই করবে তখন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ছেড়ে দিতে হবে।

তবে এমন অবস্থায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কি ভাবছে? রংপুর রাইডার্সের কোচ সোহেল ইসলাম সংবাদ ম্যাধমকে জানিয়েছেন, তাদের ভাবনাতেও এ বিষয়টি আছে। তারা এই মুহুর্তে কাকে নেবেন বা নেবেন না তা নিয়ে ভাবছেন না মোটেও। 

সোহেল বলেন, যখন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা চলে যাবে তখন দক্ষিণ আফ্রিকা, আইএলটি শেষের দিকে থাকবে। বেশকিছু দলের ক্রিকেটাররা মুক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু হাতে একাধিক অপশন থাকবে তাই আমরা তখন ভেবে দেখব কাকে নেব আর কাকে নেব না।

আরও পড়ুন: নতুন বছরে শান্ত-লিটনদের ব্যস্ত সূচি

এবারের আসরে রংপুরের হয়ে খেলবেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের মতো বড় তারকা। এ ছাড়াও ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন, ফখর জামান, আব্বাস আফ্রিদি ও শোয়েব মালিকের মতো বড় বড় তারকারা। তবে এক ঝাঁক পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজানো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি কি ভাবছে? 

বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সব পরিকল্পনা করে রেখেছি, সময়মতো সেটার প্রয়োগ করবো। আমরা এটা মাথায় রেখেই ক্রিকেটারদের সাথে চুক্তি করেছি। এটাতে কোনো সমস্যাই হবে না বলে আশা করি।

তবে রংপুর আর বরিশাল নয়। প্রায় সব দলেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জয়জয়কার এবারের আসরে। তাই আপাতত বিকল্প পরিকল্পনা ছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কোনো উপায় হাতে নেই। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পর্দা উঠবে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটির। আর পর্দা নামবে পহেলা মার্চ, ফাইনালের মধ্য দিয়ে।

এমএল/