বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২.৫ শতাংশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৪


বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২.৫ শতাংশ
ফাইল ছবি

২০২২ সালে রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.২৮ শতাংশ বিলিয়ন ডলার ও ২০২১ সালে তা ২১.৭৪ শতাংশ। বিদায়ী বছর ২০২৩ সালে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২১.৮২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা ২০২২ সালের তুলনায় ২.৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।


তিনি জানান, বিদায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এটা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এছাড়াও গত ডিসেম্বরের রেমিট্যান্স আয় গত এক বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

 

গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মোবাইলে রেমিট্যান্স লেনদেনের ক্যাশ-ইন সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) ব্যবহারকারীর সংখ্যা রয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ।


আগে একটি এমএফএস একাউন্টের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা রেমিট্যান্স পাঠানো যেত। প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোয় সরকার তা বৃদ্ধি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বা দ্বিগুণ করেছে। তবে সরকার ঘোষিত ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের উপর বাড়তি প্রণোদনা পাবেনা।


আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ


বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একটি মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) একাউন্টে একবার ৩ লাখ টাকা ব্যালেন্স থাকতে পারবে। তবে রেমিট্যান্স ট্রান্সফারের কারণে ব্যালেন্স ৩ লাখ টাকার বেশি হলে তা ৩ লাখ টাকায় নেমে না আসা পর্যন্ত কোন ক্যাশ-ইন বা অ্যাড মানি করা যাবেনা।


বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে চলতি বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটির গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মাইগ্রেশান অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ জানায়, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।  


আরও পড়ুন: শুক্র-শনিবার ব্যাংক খোলা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা


সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমদানি বিল পরিশোধে ডলার সংকটের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সাথে ডলার সংকটের কারণে টাকার বিনিময় হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। টাকার অবমূল্যায়ন ও সরকারের মুদ্রা বিনিময় হার নীতির কারণে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদায়ী বছরে প্রবাসীরা ২১.৮২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। ডলারের ব্যাংক ও হুন্ডি পদ্ধতির বিনিময় হারের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য থাকার কারণে দেশ থেকে বেশি সংখ্যক শ্রমিক প্রবাসে গেলেও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ বৃদ্ধি পায়নি।


জেবি/এসবি