দক্ষিণাঞ্চলের সন্ত্রাস হটিয়েছে আ.লীগ সরকার: মেয়র আ. খালেক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৩ অপরাহ্ন, ১১ই জানুয়ারী ২০২৪


দক্ষিণাঞ্চলের সন্ত্রাস হটিয়েছে আ.লীগ সরকার: মেয়র আ. খালেক
ছবি: জনবাণী

খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের নেতারা মিডিয়ার সামনে গনতন্ত্র নিয়ে বড় কথা বলে বেড়ান তারা এদেশের গনতন্ত্রকে কবর দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার দ্বারা দেশের কোন উন্নয়ন হয়নি। তারা দেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের পকেট ভারী করছে। 


বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৪ এ বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বেগম হাবিবুন নাহারকে বিপুল ভোটে চতুর্থ বারের মতো এমপি নির্বাচিত করায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক। 


আরও পড়ুন: মোংলায় চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন


তিনি আরও বলেন যে, বিশেষকরে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসন ছিল বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীদের আবাসস্থল। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস মৎস্য ঘের। তারা সাধারণ মানুষের মৎস্য ঘের জোরপূর্বক দখল করে নিতো। সাধারণ মানুষ মৎস্য ঘেরের হারীর টাকা চাইতে গেলে তাদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতো। 


তিনি আরও বলেন যে, ১৯৯১ সালে আমি এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হই সেসময়ে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকায় আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এ এলাকার মৎস্য ঘেরগুলো তাদের উশৃঙ্খল লোকজন সাধারণ মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে দখল করে নেয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে এ আসন থেকে জনগণ আমাকে আবারও এমপি নির্বাচিত করে। এরপর আমি সরকারের সহায়তায় এ অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করতে শুরু করি। যে সকল মৎস্য ঘের বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দখল করে রেখেছিল আমি তাদেরকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেই। পাশাপাশি প্রকৃত জমির মালিকদের নিজ জমি ভোগদখল করতে সহযোগিতা করি। এর ফলে আস্তে আস্তে জমির প্রকৃত মালিকেরা তাদের অধিকার ফিরে পায়। এছাড়া রামপাল মোংলায় যারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তাদেরকে আমি এই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেই।  জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলাকে পুরোপুরি অচল করে রেখেছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। পাশাপাশি এ অঞ্চল ইপিজেডসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। 


তিনি আরও বলেন যে, আমাদের সবাইকে রামপাল মোংলার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কেউ যেন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করতে পারে, এ বিষয়ে তিনি সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।  কেউ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টা করলে প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন


উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক,  উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন, অধ্যক্ষ মোতাহার রহমান, শেখ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অতীন্দ্রনাথ হালদার দুলাল। 


আরও পড়ুন:  বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে: শেখ তন্ময়


অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, তপন কুমার গোলদার, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স,  সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী গিয়াস উদ্দিন, শেখ নুরুল আমিন,  গাজী আক্তারুজ্জামান, শেখ বজলুর রহমান,  তাঁতী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান সোহাগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসা. সুলতানা পারভীন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল মান্নান, হাওলাদার আবু তালেব, সিরাজুল আযম দ্বারা,  ইকরামুল হক কচি, আরাফাত হোসেন কচি, শেখ শরিফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


আরএক্স/