কায়েসের অর্ধশতক ছাপিয়ে শরিফুলের হ্যাটট্রিক


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১১ অপরাহ্ন, ১৯শে জানুয়ারী ২০২৪


কায়েসের অর্ধশতক ছাপিয়ে শরিফুলের হ্যাটট্রিক
ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলের দশম আসরের অনেকটা সাদামাটা আয়োজনে পর্দা উঠেছে। যদিও দর্শকদের মধ্যে আগ্রহের কোনো কমতি নেই। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মিরপুরে দর্শকদের ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। এমন ম্যাচে ম্যাড়ম্যাড়ে মাঠের কারণে কিছুটা হতাশ করছিল ভক্ত-সমর্থকদের। তবে কুমিল্লার ইনিংসের শেষ দিকে শরিফুলের হ্যাটট্রিক কিছুটা হলেও উজ্জীবিত করেছে ঢাকার দর্শকদের। 


শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলায় উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঢিলেঢালাই খেলছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। সতেরো ওভার পর্যন্ত কুমিল্লার উইকেটের পতন হয়েছিল মাত্র একটি। যদিও সে তুলনায় স্কোরবোর্ডে তেমন রান জমা করতে পারেনি দলটি। উল্টো শেষ দুই ওভারে ৫ উইকেট খোয়াই চ্যাম্পিয়নরা। যার মধ্যে ২০ তম ওভারে টানা তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। 


আরও পড়ুন: বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো ঢাকা


নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। ঢাকার হয়ে শরিফুল তিনটি ও তাসকিন আহামেদ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।


ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এদিন টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মিরপুরের পিচে ঘাস দেখে তার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বলেছিলেন নিজেই। সময় যত গড়িয়েছে মিরপুরের পিচ সেই আগের মতই আচরণ শুরু করেছে।


ইমরুল কায়েসের জায়গায় চলতি আসরে অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটন দাস ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেন লঙ্কান চতুরঙ্গা ডি সিলভা। মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ১৬ বলে ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় মাত্র ১৩ রান। লিটনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মারকুটে ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় ও ইমরুল কায়েস। দুজনের ১০৭ রানের জুটিতে ভাল সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।


আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে আজ, টাইগারদের খেলা যেদিন


শেষ পর্যন্ত হৃদয় অর্ধশতক মিসের (৪১ বলে ৪৭ রান) হতাশা নিয়ে ফিরলেও চলতি আসরের প্রথম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে কুমিল্লাকে টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। তাসকিন আহমেদের বলে শরীফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৬ বলে করেছেন ৬৬ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। 


কুমিল্লার ইনিংসের ২০ তম ওভারে আসরের প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তিটা গড়লেন দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলটি ছিল ডট। পরের দুই বলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ হাঁকালেন দুই ছক্কা। শরীফুলের ওভারটি তখন ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা খরুচেই মনে হচ্ছিলো। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ নিলেন শরিফুল ইসলাম! একে একে ফিরালেন খুশদিল শাহ, রোস্টন চেজ এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।


এমএল/